সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সদর, দরবস্ত ও হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে জনবলসংকটের কারণে সেবা নিতে আসা মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে জমি বিক্রি কিংবা হস্তান্তরের মতো কাজও সম্পন্ন করতে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।
ওই তিনটি ভূমি অফিসে ১৮টি পদের বিপরীতে কাজ করছেন মাত্র ১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে বাকি ৭টি পদ শূন্য থাকায় স্থানীয় লোকজন ঠিকমতো সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।
অফিসগুলো সূত্রে জানা গেছে, তিনটি অফিসে মোট ৯টি ভূমি সহকারী, কর্মকর্তা ও উপসহকারী কর্মকর্তা এবং ৯টি অফিস সহায়ক পদ থাকা সত্ত্বেও ৪টি ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এবং ৩টি অফিস সহায়ক পদ শূন্য রয়েছে।
জৈন্তাপুর সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ৩টি ভূমি সহকারী কর্মকর্তার মধ্যে ১টি, অফিস সহায়ক ৩টির মধ্যে ১টি পদ শূন্য রয়েছে। দরবস্ত ইউনিয়ন ও হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একই পরিমাণ পদ শূন্য রয়েছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দৈনন্দিন সেবা পেতে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেক সময় দরকারি কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং সেবা নেওয়া সহজ হচ্ছে না। এ ছাড়া জমি বিক্রি কিংবা হস্তান্তরের মতো কাজও সম্পন্ন করতে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। এতে ভোগান্তি বেড়েই চলেছে। তাদের আশা, শিগগির এ জনবলসংকট সমাধান হবে এবং তারা সহজেই ভূমি-সম্পর্কিত সেবাগ্রহণ করতে পারেন।
হরিপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন জানান, জনবল কম হওয়ার কারণে সব কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব করা যাচ্ছে না। দাপ্তরিক কাজে বা সেবাগ্রহীতাদের আবেদনে মাঠপর্যায়ে তদন্তে গেলে অফিসের কাজগুলো আটকে থাকে। এতে সেবা গ্রহীতাদের সেবা পেতে বিঘœ ঘটে। জনবলসংকটের বিষয়টি উপজেলা নির্বাহীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি। আশা করছি, শিগগির শূন্য পদগুলো পূরণ হলে সেবা প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ ও দ্রুত হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জর্জ মিত্র চাকমা বলেন, ‘শূন্য পদে জনবল নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। বিষয়টি এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রতি মাসে শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্টরা শিগগিরই শূন্য পদে দেবেন।’
