ঢাকা বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

আমরা উইনিং টিম হমু: হামজা চৌধুরী

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৫:০০ এএম

বিকাল ৫টায় ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন ইংলিশ লিগে খেলা লন্ডনপ্রবাসী ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ভক্ত-অনুরাগীরা আগেই উপস্থিত ছিলেন। লক্ষ্য, হামজার সঙ্গে ছবি তোলা। এ বিষয়ে কার্পণ্যহীন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। তাই ভক্তদের আবদার মেটালেন। এর পরেই অনুশীলনে যোগ দিতে সবুজ ঘাসের মাঠে দৌড় দিলেন। কিছুক্ষণ পরে সাংবাদিকদের সামনে এসে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন, ‘খুব চান্স আছে। আমি কোচের সঙ্গে মাতছি। আমাদের ট্যালেন্ট আছে, অ্যাগ্রেসিভনেস আছে। লাস্ট স্টেপ হলো, বহুত কনফিডেন্স পাইয়া ইনশাআল্লাহ আমরা উইনিং টিম হমু।’

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বৃহস্পতিবার হংকং চায়নার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আগের দুই ম্যাচের একটিতে হার, অন্য ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র। ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে হাভিয়ের কাবরেরার দল। এবার ঘরের মাঠে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে থাকতে চায় দল। হামজার কথা, ‘খুব আশাবাদী, এ নিয়ে তৃতীয়বার আমি এখানে আসছি। কোচ ও ফুটবলারদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। এক সপ্তাহ ধরে দল কঠিন পরিশ্রম করছে। ইনশাআল্লাহ আমরাই জিতব।’

হেরে যাওয়া সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে হামজার কথা, ‘সিঙ্গাপুর ম্যাচে আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। বড় ম্যাচে আমরা নিজেদের হতাশ করেছি। ২ গোল হজম করেছি। রক্ষণে আরও ভালো করলে হয়তো গোল হজম করতাম না। এ ছাড়া আমরা একটা পেনাল্টি পেতাম। ফুটবল এমনই। মাঝেমধ্যে আমরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। কোচ এবং দল একসঙ্গে খুব ভালো কাজ করছে। সামনে হংকং চায়না ম্যাচ, অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। বিশ্বাস করি আমরা অবশ্যই জিতব। তাই আমাদের পরিকল্পনায় অটল থাকতে হবে।’

গত মাসে নেপালে দুটি প্রীতি ম্যাচে হামজার যোগ দেওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়ে হামজা বলেন, ‘আমি দুঃখিত। নেপালে আমি আসিনি, কারণ আমার গোড়ালিতে একটু চোট ছিল। আগের দিন রাতে বার্মিংহামের বিপক্ষে খেলেছিলাম, তবে তার আগেও মৌসুম শুরু হওয়ায় আমার পায়ে কিছুটা ব্যথা ও টান ছিল।’ নিজের অবস্থান নিয়ে লন্ডন-প্রবাসী এই ফুটবলার বলেন, ‘হংকং-চায়না ম্যাচ নিয়ে বাড়তি চাপ অনুভব করছি না। মিডফিল্ডারের সংজ্ঞাই হলো আক্রমণ ও রক্ষণ দুই জায়গায় অবদান রাখা।

তাই ইনশাআল্লাহ, আমি দুটোই ভালোভাবে করতে পারব। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, তবে আমি বেশ রোমাঞ্চিত।’ এবার বাবা, মা ও স্ত্রী-সন্তান হামজার খেলা দেখতে এসেছেন বলে জানান হামজা, ‘এবার আমার স্ত্রী ও বাচ্চারা এসেছে। পুরো পরিবারের অভিজ্ঞতা ভালো। সবাই আমাকে ভালোবাসছে। আমার এখানে আসতে ভালো লাগে।’