ঢাকা শনিবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে ঘুর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল শঙ্কা

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম
ছবি- সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই এটি বাংলাদেশ বা ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি সর্বশেষ প্রাপ্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে এই সতর্ক বার্তা দেন।

তার মতে, ২৫ কিংবা ২৬ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে-আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ পাশে—একটি লঘুচাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই লঘুচাপটি পর্যায়ক্রমে নিম্নচাপ, গভীর নিম্নচাপ এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানে ১ ডিসেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ কারণে কৃষকদের দ্রুত জমিতে থাকা পাকা আমন ধান কেটে-ঝাড়াই শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন পলাশ। শীতকালীন শাকসবজির বীজ বপন ও সেচ দেওয়ার ক্ষেত্রেও আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলেন তিনি। তার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে রোদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করবে।

জেলেদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ২৮ নভেম্বরের পর উত্তর বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করতে পারে। তাই ৩০ নভেম্বরের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে হবে এবং ২৯ নভেম্বরের পর নতুন করে সমুদ্রে মাছ ধরতে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেন্টমার্টিন ভ্রমণ সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, ২৮ নভেম্বরের পর থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হতে শুরু করবে এবং ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত টেকনাফ–সেন্টমার্টিন রুটের সমুদ্র মারাত্মকভাবে উত্তাল থাকতে পারে। এই সময় পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।