সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্মৃতিটা ভুলে যাওয়ার মতোই। গত বছরের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের দ্বিপক্ষীয় সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ওই সিরিজে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ। এই হারের পর থেকে ওয়ানডে ক্রিকেটে দেখা যায় এক দিকহারা বাংলাদেশকে। যে ওয়ানডে ফরম্যাট বাংলাদেশের কাছে এত প্রিয়, সেই ওয়ানডে ক্রিকেটে জিততেই যেন ভুলে যায় বাংলাদেশ! ওই আফগান সিরিজের পর আট ওয়ানডে ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পায় টাইগাররা। গত জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এ জয় এসেছিল। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে হেরে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। সর্বশেষ সিরিজে শ্রীলঙ্কার কাছে হারলেও এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে খুবই আত্মবিশ^াসী দেখাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। বেশ কিছু কারণে তাদের আত্মবিশ^াস বেড়েছে।
প্রথমত, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কন্ডিশন ও উইকেটের সঙ্গে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন দুবাই ও আমিরাতে ঘুরে এশিয়া কাপ খেলেছে দল। এই টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর দেশে না ফেরে আফগানিস্তান সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নেয় কোচ ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। ফলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটি ম্যাচ জিতেছে তারা। টি-টোয়েন্টি সিরিজের ৩-০ ব্যবধানে জয়টিও ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের আত্মবিশ^াস বাড়িয়ে দেবে। শুধু তাই নয়, এশিয়া কাপেও আফগানিস্তানকে হারায় বাংলাদেশ। এ জয়ও আত্মবিশ^াসের বাড়তি জ¦ালানি। অতীত পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলছে। এ পর্যন্ত ১৯ বার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়ে ১১ বারই জয়ী হয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আত্মবিশ^াসী মিরাজ। এই সিরিজেও বাংলাদেশ দাপুটে ক্রিকেট খেলার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে।
বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির সমস্যা হতে পারেন সাইফ হাসান। তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে অনেককেই খেলানো হয়েছে। কিন্তু কেউই স্থায়ী সমাধান দিতে পারেননি। এবার প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে সাইফন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আলো ছড়ানো এই ওপেনার প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলেও জায়গা করে নিয়েছেন। আজ বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। তামিমের সঙ্গে সাইফের উদ্বোধনী জুটি দেখা যেতে পারে। মিডল অর্ডারও বাংলাদেশের শক্তিশালী। তবে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উইকেটে প্রমাণ দিতে হবে ব্যাটসম্যানদের। এই মাঠে ব্যাটিংয়ে ভালো করা দলই জিতে থাকে। অন্যদিকে, আবহাওয়া তৃতীয় পক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রচ- গরমের মধ্যে খেলতে হবে। তাই আবহাওয়ার সঙ্গে যারা ভালোভাবে মানিয়ে নিতে পারবে, তাদেরই বেশি সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। জয়ের অভিন্ন লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে সিরিজ জয় সহজ হয়ে যাবে। তাই নিজেদের সর্বোচ্চটা নিংড়ে দিয়েই জয় তুলে নেওয়ার লক্ষ্য থাকবে তাদের।