ঢাকা বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

যুবদলের দুই নেতার কাণ্ড 

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পুকুর  দখল করে মাছ চাষ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৪:৪৫ এএম

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সুফলভোগীদের পুকুর দখল ও জোরপূর্বক মাছ চাষাবাদের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে মানববন্ধন ও থানায় অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা না পাওয়ায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ মাসুম ও যুগ্ম আহ্বায়ক শুকুর মির্জা। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের গুরপিপল ছয়গাটি পুকুরপাড় এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সুফলভোগীরা মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সুফলভোগীরা জানান, গত ৫ আগস্ট তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মসগুল আজাদের কাছে পুকুরটি লিজ নেওয়ার জন্য আবেদন করা হলে তিনি মাছ চাষ শুরু করার পরামর্শ দেন। পরে স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগে দুটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে প্রায় ৮০টি সুফলভোগী পরিবার যৌথভাবে পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন।

কিন্তু কিছু দিন পর যুবদল নেতা মাসুম ও শুকুর দলবল নিয়ে এসে পুকুরে পোনা মাছ ছেড়ে দাবি করেন, ওই পুকুর তাদের দখলে। তারা সুফলভোগীদের হুমকি দিয়ে বলেন, এ পুকুরে মাছ চাষ করতে হলে প্রতিপক্ষকে দুই লাখ টাকা দিতে হবে। এ ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে সুফলভোগীরা মানববন্ধন ও থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত যুবদল নেতা রাজীব আহমেদ মাসুম বলেন, সবাইকে জানিয়ে সুফলভোগীদের চার লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাষাবাদ করছি।

অন্য অভিযুক্ত শুকুর মির্জা দাবি করে বলেন, ‘৮০ জন সুফলভোগীর মধ্যে প্রকৃত ৩০ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমরা চাষাবাদ করছি। তবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ছাড়া অন্য কেউ চাষ করতে পারেন কি না, এ প্রশ্নে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।’

তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মৎস্য চাষ সমিতিভিত্তিক প্রকল্প। আমরা বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য মাঠপর্যায়ে লোক পাঠিয়েছি। সত্যতা পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তাড়াশ থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে আমরা এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’