কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ায় যাত্রীবাহী মারছা বাস ও প্রাইভেট নোহা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে ফাঁসিয়াখালী হাঁসের দিঘি সেনাক্যাম্পের দক্ষিণে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী এলাকায় চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী মারছা বাসের সঙ্গে কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট নোহা গাড়ি মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে দুজন নিহত হন। আহতদের সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে চকরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে আরও ৩ জন মারা যান। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিহতরা হলেনÑ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা গ্রামের উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া পাটোয়ারী (২৪), পৌরসভার ফালগুনকরা গ্রামের শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) এবং শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫)। আহতরা হলেনÑ উদয় পাটোয়ারী (৪৩), ছেলে সামাদ পাটোয়ারী (৪) এবং শ্যালক সাহেদ মজুমদার লিসান (২২)।
চকরিয়া মালমঘাট হাইওয়ে থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান পাঁচজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তদন্ত চলছে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে এবং মৃতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার বাসিন্দা উদয় পাটোয়ারী মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সে কর্মরত। দীর্ঘদিনের কর্মব্যস্ততার কারণে তিনি পরিবারসহ কক্সবাজারে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। গত মঙ্গলবার রাতে তারা ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন। পথে চৌদ্দগ্রাম থেকে উদয়ের মা ও বোন এবং ফালগুনকরা থেকে শাশুড়ি গাড়িতে ওঠেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে উদয় পাটোয়ারীর পরিবারে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন