পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ এনে ধরা পড়েছে চট্টগ্রামের মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। দুটি কনটেইনারে পাখির খাদ্য ঘোষণায় এমফ চালান আমদানি করা হলেও কনটেইনার খুলে পপি বীজ পায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জ এলাকার প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদিব ট্রেডিং পাকিস্তান থেকে ৩২ টন পাখির খাদ্য আমদানি করার ঘোষণা দেয়। গত ৯ অক্টোবর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এবং পরে খালাসের জন্য বেসরকারি ডিপো ছাবের আহম্মেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে নেওয়া হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা চালানের খালাস স্থগিত করে পরীক্ষা চালান। ২২ অক্টোবর কনটেইনার দুটি খোলার পর দেখা যায়, সেখানে ২৫ টন পপি বীজ এবং মাত্র ৭ টন পাখির খাবার রয়েছে। পরীক্ষাগারে নমুনা পাঠিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তদন্তে জানা যায়, পণ্য বোঝাইয়ের সময় বিষয়টি গোপন রাখতে কনটেইনারের মুখে পাখির খাদ্যের বস্তা এবং ভেতরের দিকে পপি বীজের বস্তা রাখা হয়েছিল।
কাস্টমস জানায়, পপি বীজ অঙ্কুরোদগম উপযোগী হলে তা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে গণ্য হয়। আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী পপি বীজ আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এইচ এম কবির জানান, জব্দ করা পপি বীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আনার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

