শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ১২:৩৬ এএম

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে অর্থ আত্মসাৎ

ডাচ্-বাংলার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৫, ১২:৩৬ এএম

ডাচ্-বাংলার এমডিসহ  ৯ জনের বিরুদ্ধে  দুদকের মামলা

খুলনার আড়ংঘাটা বাজারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসির ‘মুনমানহা’ নামের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গ্রাহকদের প্রায় ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বুধবার ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিং মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘খুলনায় দুদকের গণশুনানিতে অভিযোগটি পাওয়ার পর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করা হয়। যাদের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে, তারা সবাই নিতান্তই দরিদ্র ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ।’ দুদক যাদের আসামি করে মামলা করছে, তাদের মধ্যে ব্যাংকটির বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন-এর নাম রয়েছে বলে জানান এক কর্মকর্তা।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর এস এম সোহেল মাহমুদ ‘মুনমানহা’ নামের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা পরিচালনার অনুমোদন পান। স্থানীয় স্বল্পশিক্ষিত, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীই ছিলেন শাখাটির মূল গ্রাহক। তারা নিয়মিত ব্যাংক হিসাব খোলা, অর্থ জমা-উত্তোলন, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ ও মেয়াদি আমানত সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এজেন্ট পরিচালনকারী এস এম সোহেল মাহমুদ, টেলার আব্দুল হান্নান এবং আউটলেট রিলেশনশিপ অফিসার (ওআরও) পলি খাতুন দীর্ঘদিন গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে জমার রসিদ দিলেও ব্যাংকে সেই অর্থ জমা করতেন না। পরে তারা ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬৬ টাকা আত্মসাৎ করে শাখা বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

অর্থ ফেরত না পেয়ে প্রতারিত গ্রাহকরা খুলনা রিজিওনাল অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন বলে এতে বলা হয়। দুদক প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখতে পায়, ৫০ জন গ্রাহক ম্যানুয়াল ভাউচার ও নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ১ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৯০ টাকা জমা করেছিলেন, যার মধ্যে ২২ লাখ ৬৪ হাজার ৮২৪ টাকা উত্তোলন করা সম্ভব হয়। অবশিষ্ট ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৬৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং পলিসি-২০২২ (অনুচ্ছেদ ১৪.০) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গাইডলাইন অনুযায়ী, নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্ট কর্তৃক কোনো অনিয়ম বা প্রতারণা ঘটলে গ্রাহকের অর্থ ফেরতের দায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওপরই বর্তায়। তবে ঘটনাটির প্রমাণ মিললেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এখনো ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দেয়নি। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দায়িত্বে অবহেলা ও তদারকির ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে।

অনুমোদিত মামলায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেনÑ মুনমানহা এজেন্ট শাখার প্রোপ্রাইটর এস এম সোহেল মাহমুদ, টেলার আব্দুল হান্নান, আউটলেট রিলেশনশিপ অফিসার (ওআরও) পলি খাতুন, সাবেক এরিয়া ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম, সাবেক রিজিওনাল হেড এইচ এম কামরুজ্জামান, এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান আহাম্মেদ আসলাম আল ফেরদৌস, ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন কমপ্লায়েন্স ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ফরহাদ মাহমুদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) সাহাদাৎ হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং দ-বিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারায় মামলা রুজুর অনুমোদন দিয়েছে দুদক।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!