শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, শ্বেতপত্রে প্রস্তাবিত শিক্ষাবিষয়ক প্রস্তাবনাগুলো যথাসম্ভব এগিয়ে নেওয়া হবে। শ্বেতপত্র থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলো থেকে আলোচনার মাধ্যমে অনেকগুলো বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো আমাদের এ অল্প সময়ের মধ্যে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কাজ শুরু করেছি।
গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছে, সেগুলো অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। ইতিমধ্যে আমরা ইন্ডাস্ট্রির মালিকদের সাথে মতবিনিময় করেছি। তাদের মতামতগুলো আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইন্ডাস্ট্রিগুলো আমাদের কোর্সগুলো তাদের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে তাদের প্রশিক্ষণের সময় বেঁচে যাবে বলে মতামত ব্যক্ত করেছে। আমরা এগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সময় এসেছে, দেশের সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন দক্ষ মানুষ সম্পদ গড়ে তোলা। আজকের এ সভায় আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের কাছ থেকে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা পেলাম, ভবিষ্যৎ শিক্ষাব্যবস্থা তুলতে আপনাদের প্রস্তাবনাগুলো আমাদের সহায়ক হবে। আমরা মাঠ পর্যায়ে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেছি। আমাদের সচিবগণ এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি মানসম্মত শিক্ষা, শ্রমবাজারের সাথে দক্ষ শ্রমিক তৈরি, সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই বিনিয়োগ বাড়ানো, কারিগরি শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা ও প্রবাসীদের জন্য কর্মসংস্থানমূলক শিক্ষায় মনোযোগ বাড়ানোÑ এসব বিষয়ের ওপর প্রস্তাবনা পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সিদ্দিক জোবায়ের, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব, ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যসহ সদস্যবৃন্দ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।