দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির আদেশ শিগগির জারি হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আমি সচিব হিসেবে এখানে আসার পর থেকে এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আশা করি, এমপিওভুক্তির আদেশ শিগগির হয়ে যাবে। সচিবালয়ে বিভাগের সভাকক্ষে গতকাল বুধবার সাংবাদিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।’
সচিব আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার কাছে এটির সারসংক্ষেপ গেছে। তিনি মালেশিয়া থাকার কারণে এখনো স্বাক্ষর হয়নি। হয়তো আগামীকাল বৃহস্পতিবার (আজ) স্বাক্ষর হতে পারে। আর আগামীকাল না হলে আগামী সপ্তাহে হবে বলে আমি আশা করছি।’
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের শুরুতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাগুলোকে প্রথমে এমপিওভুক্ত করে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয়। গত ২৫ জুন ইবতেদায়ি মাদ্রাসা এমপিওভুক্তির নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে ৮ থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।
নীতিমালা অনুসারে মাদ্রাসাগুলোর মোট ছয়টি পদ এমপিওভুক্ত হবে। ইবতেদায়ি প্রধান বেতন পাবেন দশম গ্রেডে। আর সাধারণ, বিজ্ঞান ও আরবি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকের বেতন হবে ১৩তম গ্রেডে। আর কারি বা নূরানি বিষয়ের সহকারী শিক্ষকরা ১৬তম গ্রেডে বেতন পাবেন। আর প্রতিটি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার অফিস সহায়ক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা ২০তম গ্রেডে বেতন পাবেন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন প্রসঙ্গে ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারি মাদ্রাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালাটি উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখানে থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চলে যাবে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন হয়ে এলে আমরা নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) এমপিওভুক্ত দেব।
তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসাগুলোয় আমরা এমপিওভুক্ত করতে চাই। বিশেষ করে যেসব প্রতিষ্ঠান ২০০৬ সালের আগে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিন্তু আগের সরকার বৈষম্যমূলকভাবে তাদের এমপিও দেয়নি, সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।’