এই শীত মৌসুমে দেশে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (২ নভেম্বর) প্রকাশিত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে মোট ১০টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
সাধারণত এই সময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের প্রভাব দেখা দেয়। দেশের উত্তরের কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই হালকা শীতের ছোঁয়া আছে, যদিও রাজধানী ঢাকায় এখনো প্রকৃত শীতের প্রভাব পড়েনি। তবে দুই দিন আগের বৃষ্টির ফলে ঢাকাসহ আশেপাশের এলাকায় আবহাওয়া কিছুটা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, শীত আসতে আর বেশি দিন বাকি নেই। ১১ নভেম্বরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের আগমন শুরু হতে পারে। ধীরে ধীরে মাসের শেষ নাগাদ সারাদেশে শীত জেঁকে বসবে। চলতি শীত মৌসুমে উত্তরপূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। ফলে ডিসেম্বর মাসে শীতের তীব্রতা চরমে পৌঁছাবে। এ সময়টিই সবচেয়ে বেশি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, এই সময় দেশে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে দুই থেকে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত দুটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি বা দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগামী তিন মাস ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তরপশ্চিম, মধ্যাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাবে, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়াবে।
