ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

মালয়েশিয়ায় সিন্ডিকেট করতে সক্রিয় সাবেক প্রবাসী কল্যাণে মন্ত্রী বেয়াই মোশাররফের ক্যাশিয়ার দোলন 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
আরিফুর রহমান দোলন। ছবি- সংগৃহীত

কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে জুলাই বিপ্লবের পর বিএনপি নেতা বনে যাওয়া সেই আরিফুর রহমান দোলন এখন নিয়ন্ত্রণ করতে চান মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের শ্রমবাজার সিন্ডিকেট। ক্যারিয়ার ওভারসিস নামক রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে একসময় সেই আলোচিত ১০ সিন্ডিকেটে থাকা দোলন এখনে ফের সিন্ডিকেট করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মালিকানাধীন গুডম্যান ওভারসীসের (আরএল-১৫৯৪)-এর মাধ্যমে সিন্ডিকেট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সে লক্ষ্যে তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কুৎসা ও কুরুচিপূর্ণ বিভিন্ন লেখা ও বক্তব্য প্রচার করছেন। অথচ আওয়ামী লীগের ১৭ বছরে তিনি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একক নিয়ন্ত্রক। শেখ হাসিনার আলোচিত বেয়াই মোশাররফ হোসেনের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করে আরিফ অবৈধভাবে শতশত কোটি টাকা কামিয়েছেন। তাকে চাঁদা না দিয়ে কোনো শ্রমিক বিদেশে যেতে পারেনি, যা রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা সকলেই অবগত। 

আরিফুর রহমান দোলন সম্পর্কে জানা গেছে, জীবনে একদিনও কৃষি কাজ না করে হয়েছিলেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছেন ফরিদপুর-১ (মুধখালী-বোয়ালমারি-আলফাডাঙ্গা) আসন থেকে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়ে হয়েছিলেন বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী। ২০০ কোটি টাকা ব্যয় করেও নির্বাচনে পরাজিত হন। একসময় বিএনপি বিটে কাজ করা দোলন ক্ষমতার পলাবদলে হয়ে যান ফ্যাসিবাদের দোসর। সেই দোলন এখন আবার বিএনপি নেতা সাজার চেষ্টা করছেন। দৌড়-ঝাঁপ করছেন বিএনপি নেতাদের কাছে।

কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি দোলন ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ও সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ক্যাশিয়ার। শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের ব্যবসায়িক পার্টনার। শেখ হাসিনার পরিবারকে বাগে নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে তদবীর কমিশন বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ফরিদপুরের বহুল আলোচিত রুবেল ও বরকতের দুর্নীতি অনিয়মের অন্যতম সহযোগী দোলন। গত বছরের ৫ মার্চ আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় তাকে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। পরে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। ৫ আগস্টের পর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এসব মামলায় দোলন জামিন না নিয়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। 

দোলন সম্পর্কে জানা গেছে, পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়ায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন যখন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তখন প্রবাসী কল্যাণ ভবনে দোলনের রাজত্ব শুরু হয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিটি শ্রমিকের নিয়োগানুমতি ঠেকিয়ে রেখে জিম্মি করে ১০ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা করে নিতেন। তাকে টাকা না দিয়ে কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক কোনো কর্মী বিদেশে পাঠাতে পারতেন না। 

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী থাকার সময় স্থানীয় সরকার বিভাগে দোলনের একচ্ছত্র আধিপত্য শুরু হয়। শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে পুতুলের স্বামীকে হাত করে কয়েক হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারী কাজ বাগিয়ে নেন দোলন। এই দোলনকে ১০ শতাংশ কমিশন না দিলে স্থানীয় সরকার বিভাগে কোন কাজ করা সম্ভব ছিল না। দোলন জনশক্তি রপ্তানী সিন্ডিকেটে ছিলেন বহুল আলোচিত নূর আলীর সঙ্গে। নূর আলীর ১০ সিন্ডিকেটে দোলনের প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ক্যারিয়ার ওভারসীস। ওই প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ মালিকানা ছিল দোলনের। তদবীর বাণিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্পদ তিনি পাচার করেছেন ভারতের কলকাতা, দুবাই, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে। কলকাতায় দোলনের অন্তত এক ডজন বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এখন ওইসব বাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতারা আশ্রয় নিয়েছেন। তার একটি বাড়ি আওয়ামী লীগের অফিস হিসেবেও ব্যবহার হচ্ছে। 

ফরিদপুরের বাসিন্দারা জানান, আগে থেকেই দোলনের পরিবার কলকাতায় বসবাস করতো। বাংলাদেশ থেকে তদবির বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির করে প্রাপ্ত সম্পদ কলকাতায় পাচার করেন দোলন। সেখানে তার বেশ কিছু বাড়ি ও ফ্লাটের খোঁজ মিলছে।  

ফরিদপুরের বহুল আলোচিত সাবেক এসপি সুভাষ চন্দ্র সাহার পার্টনার ছিলেন দোলন। সুভাষ চন্দ্র সাহার সময়ে ফরিদপুরে পুলিশে যে নিয়োগ কেলেঙ্করি হয়েছে সেটার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আরিফুর রহমান দোলন। ওই সময় পুলিশে কনস্টেবল ও এসআই নিয়োগে শত কোটি টাকা হাতিয়ে সেনয় সুভাষ-আরিফ চক্র। পরবর্তীতে সুভাষের কাছ থেকে পুলিশের নিয়োগের ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকা উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ সুভাষের বিরুদ্ধে মামলা দিলেও দোলন থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য সুভাষ চন্দ্র সাহা নিজেও বলেছেন। কিন্তু রহস্যজনক কারনে সে ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। 

দোলন ফরিদপুরের বুহুল আলোচিত বরকত-রুবেল চক্রের অন্যতম সদস্য। রুবেল বরকতের সঙ্গে মিলে আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালের ২৬ জুন রাজধানীর কাফরুল থানায় সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আস্থাভাজন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০২১ সালের ৩ মার্চ সাজ্জাদ-ইমতিয়াজসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির সহকারী পুলিশ কমিশনার উত্তম কুমার সাহা। ২০২২ সালে অভিযোগ গঠন শুনানির সময় কিছু অসংগতি দেখতে পেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে সিআইডিকে মামলাটি আবার তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। পরে গত বছরের ২২ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এ আরিফুর রহমানসহ আরও ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় দোলন আদালতে আত্মসর্পণ করলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়। 

অভিযোগ রয়েছে আরিফুর রহমান দোলন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের বিপুল অর্থ লুট করেছেন। সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানের সেঙ্গ আরিফুর রহমান দোলন ছিলে ফেডারেশনের পৃষ্ঠপোষক। শাহজাহান খান, লক্ষীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাবেক এমপি দিদারুল আলমের আলমের সঙ্গে সিন্ডিকেট করে ফেডারেশনের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন। তাদের ভয়ে ফেডারেশনের কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। 

এদিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি আরিফুর রহমান দোলনের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী এক নারী বাদী হয়ে গত ২৭ জানয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে দীর্ঘ ৫ বছর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও এখন আর তাকে বিয়ে করছেন না আসামী দোলন। আর তাই এর প্রতিকার চাইতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮এ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী, যাহার নাম্বার- ১৫/২৫।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম এলাকার মোঃ ওবায়দুর রহমানের (বালাম মুন্সী) ছেলে আরিফুর রহমান দোলন। বাদিনী তৃপ্তি খানম একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে প্রথম পরিচয় হয় তাদের। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতে শুরু করে। সর্বশেষ বিয়ে না করে ২৫ সালের (১৬ জানুয়ারি) বাদিনীর সাথে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করে। বাদিনী বিয়ের কথা বললে মারধর করে বাসা থেকে বের করে দেয়। মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামী দোলন বাদিনীকে তার ৪৪ ইস্কাটন গার্ডেন রমনা এলাকার অফিসে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে রেখেছে মর্মে হুমকি দিচ্ছে। এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, দীর্ঘ ৫ বছর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কারণে শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করেন বাদির পরিবার গত (১৭ জানুয়ারি) প্রেগনেন্সি টেস্ট করায়। এবং প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পজিটিভ রেজাল্ট আসে। পরে আসামী দোলনকে অবহিত করলে তিনি জানান, বিদেশ থেকে ফিরে এসে বিয়ে করবেন। তবে শর্ত এই মূহুর্তে বাচ্চা নষ্ট করতে হবে। এরপর বাদিনী তার কথা মতো বাচ্চা নষ্ট করে। কিন্তু আসামী দোলন বিয়ে করেনা। পরে আদালত পিবিআইকে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। কিন্তু পিবিআইর সংশ্লিষ্টরা দোলনের চাপে তড়িঘড়ি করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, এক সময়ে সেই বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনের নাম ভাঙ্গাতেন কৃষক লীগ নেত দোলন। ওই সময় তিনি দৈনিক প্রথম আলোতে বিএনপি বিট কভার করতেন। সেই সুযোগে হাওয়া ভবনের বহুল আলোচিত হারিস চৌধুরীসহ ওই সময়কার নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থের মালিক হন। পরে প্রথম আলো থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়। তখন দোলন যোগদেন বসুন্ধরা গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সেখানে সম্পদক নঈম নিজামের পদ দখেলের চেস্টা করে ব্যর্থ হন। পরে বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে চাকুরিচ্যুত হলে তিনি ঢাকা টাইমস নামে একটি অনলাইন চালু করেন। সেখাওন বহু সাংবাদিকের পাওনা বুঝিয়ে না দিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে দোলনের বিরুদ্ধে। নিয়মিত বেতন ভাতা না দিলেও ঢাকা টাইমসের সাংবাদিকদের তিনি নিজ অপকের্মর ঢাল ও ক্যাডার হিসেবে ব্যহার করেন। 

জুলাই বিপ্লবের পর দোলন তার অনলাইন ব্যবহার করে বিএনপির পদধারী নেতাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছেন। বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে নিউজ করে সেগুলো অনলাইন থেকে নামানোর কথা বলে ‘বিজ্ঞাপনের নামে’ মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছেন। যারা তার চাহিত অর্থ দিতে পারে না তাদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অসত্য তথ্য দিয়ে নিউজ করতে থাকেন দোলন। 

বহুল আলোচিত সেই আরিফুর রহমান দোলন জুলাই বিপ্লবের পর ফের ভোল পাল্টানোর চেষ্টা করছেন। তিনি এখন নতুন করে বিএনপি সাজার চেষ্টা করছেন। বিএনপি সিনিয়র কয়েকজন নেতার কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন বিএনপিতে যোগ দেওয়ার জন্য। ইতোমধ্যে বিএনপির হাইকমান্ড তার বিষয়ে নেতাকর্মীদেরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে যাতে কোন সুযোগ সুবিধা না নিতে পারে সে বিষয়েও সতর্ক করেছে বিএনপি।
 
এ বিষয়ে দোলন বলেন, আমি রাজনীতি ও সাংবাদিকতা করি। প্রতিপক্ষ আমাকে ফাঁসাতে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাতে পারে। আমি আওয়ামী লীগ আগে বঞ্চিত ছিলাম। এখন ভালো কিছু করতে চাই।