ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা জনি সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০১:৫৪ এএম

** ব্যবসায়ীকে বালিতে পুঁতে চাঁদা আদায়
** ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়

যশোরের অভয়নগরে ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বালিতে পুঁতে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি ও তার সহযোগী তুহিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার রোজ গার্ডেন হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আসাদুজ্জামান জনি নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও গরুর হাট এলাকার কামরুজ্জামানের ছেলে। অপর গ্রেপ্তারকৃত তুহিন হোসেন চলিশিয়া গ্রামের সাবেক মেম্বার মাহমুদ শেখের ছেলে।

অভয়নগর থানার ওসি আব্দুল আলীম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডিবি, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল খুলনায় অভিযান চালিয়ে জনি ও তুহিনকে আটক করে। পরে যৌথ বাহিনী জনির মালিকানাধীন ‘কনা ইকো পার্ক’সহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালায়।

যশোর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মনজুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, জনির বিরুদ্ধে নানা অপরাধমূলক কর্মকা-ের অভিযোগ রয়েছে। চাঁদাবাজি, জমি দখল ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পূর্বেও তিনি সমালোচিত ছিলেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংখ্যালঘুদের জমি নামমাত্র মূল্যে দখল করে জনি ‘কনা ইকো পার্ক’ নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া আলোচিত কৃষক দল নেতা তরিকুল হত্যাকা-েও তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর সকালে জাফ্রিদী এন্টারপ্রাইজের মালিক শাহনেওয়াজ কবীর টিপুকে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জনির অফিসে ডেকে নেন যুবনেতা সৈকত হোসেন হিরা। সেখানে জনি টিপুকে মারধর করেন এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে টিপুকে চলিশিয়া গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে হিরা গতিরোধ করে কনা ইকো পার্কে নিয়ে যান। খবর পেয়ে টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন সেখানে গেলে জনি, সম্রাট হোসেন, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান দপ্তরিসহ অন্যরা পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করে। পরে বালুর গর্তে আটকে রেখে আরও দুই কোটি টাকা আদায় করা হয়।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ৩ আগস্ট টিপুর স্ত্রী আসমা খাতুন বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেনÑ কনা ইকো পার্কের মালিক কামরুজ্জামান ও তার ছেলে আসাদুজ্জামান জনি, মফিজুর রহমান দপ্তরি, সম্রাট হোসেন, সৈকত হোসেন হিরা ও মিঠু (ডিশ ব্যবসায়ী)। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।