ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

সিইসিকে জাপা জিএম কাদেরের পক্ষে আইনগতভাবে লাঙ্গল প্রতীক থাকবে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০২:০০ এএম

সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, একটি দ্বন্দ্বে ভরা ও রাজনৈতিক টালমাটাল সময়ে নির্বাচন কমিশনকে তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে তারা দলের নেতৃত্ব এবং প্রতীক-সংক্রান্ত চলমান বিতর্কে জিএম কাদেরের পক্ষেই আইনের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের বেশ কিছু উদ্বেগ তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জাপা মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন ও শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং সব নিবন্ধিত দলের অভিভাবক। তাই নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতার শপথ বজায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির এ নেতা জানান, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে নির্বাচনের যে সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়েছে, তা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে তারা সরকারকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মনে না করলেও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার ওপর তাদের আস্থা রয়েছে। 

এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনকে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে বলেও জানান তিনি। দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নিয়ে চলমান সংকট প্রসঙ্গে শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জিএম কাদেরই দলের চেয়ারম্যান এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষমতাও শুধু তারই আছে। সিভিল কোর্টের নির্দেশে জিএম কাদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তার বহিষ্কারাদেশ এখনো কার্যকর আছে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, আইনগতভাবে জিএম কাদেরের পক্ষেই লাঙ্গল প্রতীক থাকবে।

ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে অযোগ্য ঘোষণার দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে জাপা মহাসচিব বলেন, নির্বাচন আইনে জাতীয় পার্টিকে অযোগ্য ঘোষণার কোনো শর্ত পূরণ হয়নি। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রয়োজন এবং কাউকে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তা গণতন্ত্র ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর।