শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০২:০৪ এএম

চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মাওলানা সাঈদীর মৃত্যু হয় - দাবি জামায়াত আমিরের

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৫, ২০২৫, ০২:০৪ এএম

চিকিৎসায় অবহেলার কারণে মাওলানা সাঈদীর মৃত্যু হয় - দাবি জামায়াত আমিরের

প্রখ্যাত ধর্মীয় আলোচক ও ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেন, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে সাঈদীর মৃত্যু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেন তিনি। 

বিবৃতিটি জামায়াতে ইসলামীর ফেসবুক পেজে দেওয়া হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসায় অবহেলার কারণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামি চিন্তাবিদ ও মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ইন্তেকাল করেন। তাকে কাশিমপুর কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় এনে সন্ধ্যায় পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জামায়াতের আমির অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসায় যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। চিকিৎসায় অবহেলার বহু তথ্য প্রচারিত হয়েছে। ওই অবস্থায় তার সন্তান ও স্ত্রীকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এমনি এক পরিস্থিতিতে পিজি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ইন্তেকালের পর ঢাকায় তার জানাজা আদায় করতেও দেওয়া হয়নি। লাখ লাখ তৌহিদি জনতা ঢাকায় জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গুলি চালিয়ে শত শত লোককে আহত করে। 

তিনি বলেন, আল্লামা সাঈদী এখন আমাদের মধ্যে নেই। তিনি তার জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে রেখে গিয়েছেন। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে তিনি দেশে-বিদেশ কুরআনের তাফসির করেছেন। তার অসংখ্য বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হচ্ছে এবং মানুষ তার রেখে যাওয়া বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে ইসলামী আদর্শে উজ্জীবিত হচ্ছে।  সাঈদীর বর্ণাঢ্য জীবন নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের সদস্য ও বিভিন্ন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। 

জামায়াত আমির আরও বলেন, তিনি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের এক নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সারা জীবন আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা ও মানবতার কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রত্যাবর্তন করেছেন, তবুও তার কর্মপন্থা আমাদের মধ্যে বেঁচে আছে। এই কর্মপন্থার পথ ধরে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে মানবিক মর্যাদাসম্পন্ন একটি আধুনিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে আমরা সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদাউসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন, তার দাওয়াতি কর্মপন্থা আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের তাওফিক দিন এবং তার রেখে যাওয়া সংগ্রামের ধারা অব্যাহত রাখার শক্তি দিন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!