জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ও মামলার আসামিরা ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
তিনি বলেন, ভোটের আগের দিনও খোঁজ পাওয়া গেলে তাদের ভোট থেকে বিরত রাখা হবে। ডাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বিতরণ ও জমা দেওয়া বিষয়ে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এখন পর্যন্ত ৪২টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে এবং সাতটি জমা পড়েছে। এর মধ্যে ভিপি পদে ১০টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। হল সংসদের বিভিন্ন পদে ২৬টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হওয়ার তথ্যও দিয়েছেন তিনি। তবে গতকাল কোনো মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়নি বলে জানান তিনি।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সে দিন সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।
ওই ঘটনার পর থেকে সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন তীব্রতা পায়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাত, সহিংসতার ঘটনা ঘটতে থাকে। ব্যাপক প্রাণহানির মধ্য দিয়ে চলা আন্দোলন পর্যায়ক্রমে রূপ নেয় সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার তুমুল গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। এরপর কিছু দিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনাগুলো অনুসন্ধানে কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝামাঝি থেকে সরকার পতনের দিন পর্যন্ত বিভিন্ন হামলার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২২ শিক্ষার্থীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’; সেই সঙ্গে হামলা উসকে দেওয়ার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৭০ শিক্ষকও রয়েছেন বলে কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন মনোনয়নপ্রত্যাশীলা। ১৯ আগস্টের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন