মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

কাল দ্বিতীয় তিস্তা  সেতু উদ্বোধন 

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

কাল দ্বিতীয় তিস্তা  সেতু উদ্বোধন 

  • ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে ১৩৫ কিলোমিটার

দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে। আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু উদ্বোধন করা হবে। দেশের অন্যতম বড় এই সড়কসেতু উদ্বোধন করবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী জানান, উদ্বোধনের দিন থেকেই যানবাহন ও সাধারণ মানুষের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত থাকবে।

প্রায় ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের পিসি গার্ডারবিশিষ্ট এই সেতু দেশের ইতিহাসে এলজিইডির সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। সেতুর উভয় পাশে প্রায় ৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার নদীশাসন এবং সংযোগ সড়কের ৮৬ কিলোমিটার উন্নয়ন করা হয়েছে।

গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই সেতু। অপর প্রান্তে রয়েছে কুড়িগ্রামের চিলমারী ঘাট। সংযোগ সড়কটি কুড়িগ্রামের চিলমারী, সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, বেলকাবাজার, পাঁচপীর, ধর্মপুর, গাইবান্ধার হাট লক্ষ্মীপুর, সাদুল্লাপুরের কামারপাড়া ও সাদুল্লাপুর হয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাটে পৌঁছেছে। এই সেতুর ফলে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের দূরত্ব প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার কমে আসবে এবং সময় সাশ্রয় হবে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এই সেতু শুধু গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের নয়, বরং উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগও সহজ করবে। সেতু চালু হলে দেশের উত্তরাঞ্চলের পশ্চাৎপদ অঞ্চলগুলোতে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থানের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এই প্রকল্প অনুমোদন হয় ২০১৪ সালে। ২৫ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৮ সালের ৫ নভেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয় এবং নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। এটি পরিচালনা করেছে চীনের চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি)। ২০২১ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

চলতি বছরের জুলাইয়ে সেতু পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ মিয়া। প্রথম দিকে চলতি মাসের শেষে সেতুটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও তা এগিয়ে এনে আগামীকাল করা হচ্ছে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!