- ছাত্রশিবির ও বাম ছাত্রজোটসহ ৫ প্যানেল
- ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা আজ
- ২৮ পদে ৫৬৫, হল সংসদে ১,২২৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
- নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি : ছাত্রদল
- সর্বোচ্চ মনোনয়ন বিক্রি শহীদুল্লাহ হলে, কম বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা আর উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় শেষ হয়েছে। ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৫৬৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। আর হল সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৮টি হলে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২২৬টি মনোনয়নপত্র। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র কেনার পাশাপাশি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাম ছাত্রজোট, ছাত্র অধিকার পরিষদসহ কয়েকটি স্বতন্ত্র জোট তাদের প্যানেল ঘোষণা করেছে। তবে গতকাল সোমবারও প্যানেল চূড়ান্ত করতে পারেনি ছাত্রদল। দলটির নেতারা বলছেন, আজ মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা করবেন। একই সঙ্গে ঢাবি প্রশাসন এখনো ডাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন। গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ছাত্রদলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একদল শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
গতকাল সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসের সামনে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে প্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়।
সরেজমিন দেখা যায়, প্রার্থীদের সঙ্গে এসেছেন তাদের সমর্থকেরাও।আগে মনোনয়ন ফরম যারা নিয়েছেন, তারা জমা দিচ্ছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসজুড়ে। আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত প্রার্থীদের বাছাই প্রক্রিয়া চলবে। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ আগস্ট।
এদিকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদলের নেতা তানভীর বারী হামিমের বিরুদ্ধে। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার পর তানভীর বারী অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মিছিল ও স্লোগান দিতে দিতে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে আসেন। মনোনয়ন সংগ্রহের পরও তারা সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় একই স্লোগান দেন, যা ডাকসুর আচরণবিধির সরাসরি লঙ্ঘন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, মিছিলে ৫০ থেকে ৬০ জনের মতো নেতাকর্মী ছিলেন। তারা ‘নব্বইয়ের হাওয়া, এখনো বহমান’, ‘আমার ভাই তোমার ভাই, হামিম ভাই হামিম ভাই’সহ নানা স্লোগান দেন। নির্বাচন কমিশনের সদস্য ড. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এটি সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন। অনুরোধ জানাব, তারা যেন আগামীতে এটি আর না করে।’
অভিযোগের বিষয়ে তানভীর হামিম বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমলে শিক্ষার্থীরা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারেনি। দীর্ঘদিন পর ডাকসুর উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের আনন্দের বহিঃপ্রকাশ এই মিছিল। কাগজ-কলমে অনেক কিছু লেখা থাকে, তবে শিক্ষার্থীরা এটা করেছে তাদের আনন্দের জায়গা থেকে।’
সর্বোচ্চ মনোনয়ন বিক্রি শহীদুল্লাহ হলে, কম বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে: হলভিত্তিক মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে সর্বাধিক ৯৭ জন এবং বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে সর্বনি¤œ ২৯ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন। এ ছাড়া সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৭১ জন, জগন্নাথ হলে ৬৬ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৭৮ জন, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৯৩ জন, রোকেয়া হলে ৪৬ জন, সূর্যসেন হলে ৯০ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৭৪ জন, শামসুন নাহার হলে ৩৭ জন, কবি জসীমউদ্্দীন হলে ৭৪ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৮৭ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৬৯ জন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩০ জন, অমর একুশে হলে ৮৪ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৪০ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৮৮ জন এবং স্যার এ এফ রহমান হলে ৭৩ জন মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
ঘোষণা হয়নি ছাত্রদলের ডাকসুর প্যানেল: ডাকসু নির্বাচনে গতকালও নিজেদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করতে পারেনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটিতে পদ বণ্টন নিয়ে বিভক্তির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ফলে অধিকাংশ নেতাকর্মীকে স্বতন্ত্রভাবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। ছাত্রদল নেতাদের দাবি, মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চূড়ান্ত প্যানেল ঘোষণা করবেন।
গতকাল দুপুরের পর থেকে ছাত্রদলের একাধিক শীর্ষ নেতাকে আলাদাভাবে মনোনয়ন ফরম নিতে দেখা যায়। বেলা ৩টার দিকে বি এম কাউসার ও আবিদুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একাংশ মনোনয়ন সংগ্রহ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা এখন শুধু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করছি। তবে কারা কোন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারেক রহমান দেবেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই ডাকসুর প্যানেল গঠিত হবে।’
অন্যদিকে, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ফরম নেন তানভীর বারী হামীম। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্যানেল এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আজ রাতের মধ্যেই তারেক রহমান পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করবেন। তার আগে সবাই নিজ উদ্যোগে মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন।’
পরে তানভীর আল হাদী মায়েদ ও জারিফ রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের আরেকটি অংশ মনোনয়ন সংগ্রহ করে। জানা গেছে, সংগঠনের ভেতরে সম্ভাব্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে আলোচনা হলেও তারেক রহমানের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।
ভিপি পদে ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান, মোমিনুল ইসলাম জিসান, জিএস পদে আবিদুল ইসলাম মিশু, জারিফ রহমান, তানভীর বারী হামীম, এজিএস পদে তানভীর আল হাদী মায়েদ, আল রজিব রহমান, জারিফ রহমান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ওবায়দুল্লাহ রেদওয়ান মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন।
ছাত্রশিবিরের প্যানেলের নেতৃত্বে সাদিক-ফরহাদ: ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে ‘ইনক্লুসিভ’ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। প্যানেলে শিবিরের বাইরে চাকমা, প্রতিবন্ধী, জুলাইয়ে আহত শিক্ষার্থী, আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্যানেলে রেখেছে সংগঠনটি। রয়েছেন বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী চার নারী শিক্ষার্থীও।
গতকাল দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় ডাকসুর প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করা হয়। এর আগে তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
প্যানেল ঘোষণা করে শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটা সম্মিলিত প্যানেল দেওয়ার। এই প্যানেল নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে ডাকসুতে যে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার এবং ছাত্রদের কল্যাণে যে উদ্যোগ নেওয়া দরকার, ছাত্রশিবির সেটা করবে।’
প্যানেলের শীর্ষ তিন পদের নাম ঘোষণা করেন নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। বাকি পদগুলোর নাম ঘোষণা করেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ। শিবিরের প্যানেলে ভিপি পদে প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম, জিএস পদে ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ, এজিএস ঢাবি শাখার সাধারণ পদে মহিউদ্দিন খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ থেকে যুক্ত হয়েছেন ফাতিমা তাসনীম জুমা। প্যানেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ইকবাল হায়দার, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন খান জসীম।
সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রয়েছেন নুরুল ইসলাম সাব্বির, যিনি বর্তমানে ঢাবি শিবিরের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে আছেন আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে আসিফ আব্দুল্লাহ, আর সমাজসেবা সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন শরিফুল ইসলাম মুয়াজ।
এ ছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে রয়েছেন ঢাবি শিবিরের দপ্তর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসাইন খান, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ এবং মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন সাখাওয়াত জাকারিয়া। ঘোষিত প্যানেলে আরও ১৩টি সদস্যপদ রাখা হয়েছে।
ডাকসুতে সদস্যপদ মোট ১৩টি। এসব পদে মনোনয়ন পেয়েছেন সর্ব মিত্র চাকমা, ইমরান হোসাইন, বেলাল হোসেন অপু, জয়েন উদ্দিন সরকার তন্ময়, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মাজহারুল ইসলাম মুজাহিদ, রাইসুল ইসলাম, সাবিকুন নাহার তামান্না, শাহিউর রহমান, আফসানা আক্তার, আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, রায়হান উদ্দিন ও আনাস ইবনে মনির।
#বাম ছাত্রজোটের প্যানেলে ভিপি ইমি, জিএস মেঘমল্লার: ডাকসু নির্বাচনের আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর সম্মিলিত জোট গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট। গতকাল বিকেলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে আংশিক প্যানেল ঘোষণা করেন তারা। আজ মঙ্গলবার তাদের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণার কথা রয়েছে।
ভিপি পদে মনোনয়ন নিয়েছেন শামসুন্নাহার হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি এবং জিএস পদে ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) ঢাবি শাখার সভাপতি মেঘমল্লার বসু। এ ছাড়া, এজিএস পদে মনোনয়ন নিয়েছেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার সভাপতি মোজাম্মেল হক প্যানেলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রার্থিতার মনোনয়ন নিয়েছেন।
#ছাত্র অধিকারের প্যানেলে ভিপি বিন ইয়ামিন, জিএস সাবিনা: নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্যানেলে ভিপি হিসেবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও জিএস হিসেবে ঢাবি শাখার সহসভাপতি সাবিনা ইয়াসমিন মনোনোয়ন পেয়েছেন। এজিএস হিসেবে লড়বেন ঢাবি শাখার সদস্যসচিব রাকিবুল ইসলাম। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করেন বিন ইয়ামিন মোল্লা। তাদের প্যানেলের নাম ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ এবং স্লোগান হলোÑ ‘ভোট ফর চেঞ্জ’।
এ ছাড়া প্যানেলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে মো. শাকিল খান, সমাজসেবা সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান মজুমদার, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুক্তার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে আশিক হৃদয় আহমেদ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক রাকিব হোসেন গাজী, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে ইশতিয়াক আহমেদ এবং গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে সিয়াম ফেরদৌস ইমন মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঘোষিত প্যানেলে সদস্য হিসেবে আছেনÑ মাহতাপ ইসলাম, রাকিবুল আলম রুদ্র, কৌফিক আদির, মোফাচ্ছেল হক, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও মো. তোফাজ্জল হক আকাশ।
দলটির ভিপি পদপ্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি সব ধরনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটা ইনক্লুসিভ প্যানেল ঘোষণা করতে। আমরা আগেও শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করেছি। ডাকসুর মাধ্যমে ভবিষ্যতেও এটি অব্যাহত রাখতে চাই।’
মাহিন সরকার ও খালিদের নেতৃত্ব ‘ডিইউ ফার্স্ট’ প্যানেল ঘোষণা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও এনসিপি নেতা মাহিন সরকারকে সঙ্গে নিয়ে ‘ডিইউ ফার্স্ট’ প্যানেল ঘোষণা করেছে স্বাধীন বাংলাদেশে ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ। এ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. মাহিন সরকার লড়বেন। এ ছাড়া সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রছাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ফাতেহা শারমিন এ্যানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
ভিপি-জিএস ছাড়াই সতন্ত্র প্যানেলে জুবায়ের-মুসাদ্দেকরা: এবারের ডাকসু নির্বাচনে গঠিত হচ্ছে এক ভিন্নধারার প্যানেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত মুখ এবি জুবায়ের, মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ, আব্দুর রহমান আল ফাহাদ ও আশিক খানসহ কয়েকজন প্রার্থী স্বতন্ত্রভাবে আংশিক প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তাদের প্যানেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) বা জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদ রাখা হয়নি; তারা শুধু বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন