স্বাস্থ্য খাতের সীমাবদ্ধতা সম্মিলিতভাবে কাটিয়ে ওঠার বিকল্প নেই - জানালেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

স্বাস্থ্য খাতের সব সীমাবদ্ধতা সম্মিলিতভাবে কাটিয়ে ওঠার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। গতকাল সোমবার রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ অনেকেই জড়িত; এটা নিয়ে দোষারোপ না করে সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেখানে দুই হাজার ৬০০ রোগীর ধারণক্ষমতা, আসে পাঁচ হাজার। এক হিসাব অনুযায়ী, ৬৫ শতাংশ ডেলিভারি হয় ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে। গৃহে ধাত্রীরা যে ডেলিভারি করান, তারা কতটুকু প্রশিক্ষিত? তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিয়ে কাজ সরকার বা স্বাস্থ্য সেক্টরের এককভাবে নয়, এনজিওকর্মী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামেরও। খুতবায় সমাজের সমস্যা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি মন্দির, গির্জায় সচেতনতামূলক আলোচনা হতে পারে। এখানে মিডিয়ারও দায়-দায়িত্ব আছে। মিডিয়া আমাদের কাজগুলো, সচেতনতা প্রোগ্রামগুলো উপস্থাপন করে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা সেবা নিতে জানি, দিতে জানি না। নিজে থেকে সেবা করার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শিশু ভালো দুধ পাবে। মায়ের স্বাস্থ্য প্রত্যেকের নিশ্চিত করতে হবে। দেশে আইন আছে, কিন্তু আইন পালনের বাধ্যবাধকতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

কর্মশালায় আরও বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহামদ, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. এস কে রায়। অনুষ্ঠানে মাতৃদুগ্ধের ওপর গুরুত্ব এবং গুঁড়া দুধের অপকারিতা সম্পর্কে একাধিক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।