গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল শনিবার দুপুরে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দলটির ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলপূর্বক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি ও সাবেক এমপি ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী বারবার দাবি করে আসছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভেতরে এবং বাইরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর সেই দাবি প্রমাণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা হলে জনগণ বসে থাকবে না। গণ অধিকার পরিষদ ফ্যাসিবাদবিরোধী একটি রাজনৈতিক দল। একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের ওপর রাষ্ট্রীয় বাহিনী হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দোসরদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন হয়েছে। যারা এই ঘৃণ্য বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে, তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে ড. আব্দুল মান্নান ও মো. শামসুর রহমান। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতারাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর যদি আইনের দৃষ্টিতে কোনো অপরাধ করে থাকে, তাহলে তাকে আটক করা যেত। কিন্তু তার ওপর অমানবিক নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হামলা কেন চালানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে তা স্পষ্ট করতে হবে। যারা এই মামলা চালিয়েছে তারা ফ্যাসিবাদের দোসর। আওয়ামী লীগের পরিচালিত গণহত্যায় যেসব দল ও ব্যক্তি সহযোগিতা এবং সমর্থন করেছে, তারাও সমান অপরাধী। আওয়ামী লীগের দোসর ১৪ দলীয় জোটকে নিষিদ্ধ করে ফ্যাসিবাদের আগ্রাসন চিরতরে বন্ধ করে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।