দেশের কিছু সীমান্ত দিয়ে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে অস্ত্র। আর সেই অস্ত্র বিভিন্ন মাধ্যমে চলে আসছে রাজধানীর অপরাধীদের হাতে। তারা এই অস্ত্র খুন, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের মতো কাজে ব্যবহার করছে। আবার এই অপরাধীরাই সেই অস্ত্র বিক্রি করছে, এমনকি সেটি ভাড়ায়ও খাটানো হচ্ছে। রাজধানীর ভাটারা থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী একটি গ্রুপকে গ্রেপ্তারের পর গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক খালিদুল হক হাওলাদার এমন তথ্য জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে অপরাধীরা নানা উপায়ে অস্ত্র আনে। আর সেই অস্ত্র রাজধানীতে ব্যবহার করা হচ্ছে।
র্যাব-২ এর কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ও অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা অবস্থান করছে বলে খবর পাওয়া যায়। তাদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে ওই স্থানে র্যাব-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরবর্তীতে র্যাব-২ এর আভিযানিক দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিউইয়র্ক ম্যাজিক টাওয়ার ভবনের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি বিদেশি রিভলবার এবং ১০ রাউন্ড গুলিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- রকিবুল হাসান ফ্রান্স (৩৫), রিয়াজুল ইসলাম (৩৫), কামরুজ্জামান ওরফে নাইম (২৭), আলম (৩৩), আল-আমিন (৩০) ও নয়ন (৩২)। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তারকৃত রকিবুল হাসান ফ্রান্স এই গ্রুপের দলনেতা। এর আগেও সে বেশ কয়েকবার অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। মূলত অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সে। সে এই গ্রুপটি পরিচালনা করত। অস্ত্র ব্যবসার পাশাপাশি তার দল নিয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র্যাব আরও জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে ও অসৎ উদ্দেশ্যে অবৈধ অস্ত্র নিজেদের হেফাজতে রেখে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ৩০০ ফিটসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে জমি দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন সময় অস্ত্র দেখিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতির সঞ্চার সৃষ্টি করছিল। আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানিয়েছে র্যাব।