প্রশাসনে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আওয়ামী লীগের দোসররা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে বিঘিœত হয়, না করা যায়, সে জন্য নানা ধরনের কলাকৌশল ও সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
গতকাল রোববার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন ও সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে দুই নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে দোসর বসে আছে এখনো। দোসররা এখানে কী ধরনের অবস্থান নিয়ে আছে? কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কি না, এগুলো তাদের (নির্বাচন কমিশনার) প্রশ্ন করেছি।
এর আগে গতকাল সকালে নির্বাচন ভবনে আসেন বিএনপির সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটির সদস্য সচিব রিজভী নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ।
রিজভী বলেন, ‘ইসি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে, এটাও তো একটা প্রশাসন; যদিও ইন্ডিপেনডেন্ট বডি, স্বাধীনসত্তা। কিন্তু বিভিন্ন স্তরে দোসররা বসে আছে। সিভিল প্রশাসনেও অনেক ঘটনা দেখছি। সেটাই আমাদের জানতে চাওয়ার ছিল। জবাবে ইসি কী বলেছে, তা খোলাসা করেননি রহুল কবীর রিজভী।’
প্রসঙ্গত, ইসি এরই মধ্যে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) চূড়ান্ত করেছে, যা দুয়েক দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা রয়েছে। আর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে শুনানি শেষ হয়েছে, যার গেজেট হওয়ার কথা ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আরপিও বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ ও সীমানা বিষয়ে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
বৈঠক থেকে বেরিয়ে রুহুল কবীর রিজভী বলেন, আরপিও সংশোধন ও সীমানা নির্ধারণের সার্বিক বিষয়গুলো জেনেছি। প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে দলের অঙ্গীকার থাকায় সে বিষয়েও আমরা জানতে চেয়েছি। রিজভী আরও বলেন, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমের অগ্রগতি জেনেছি। সার্বিকভাবে প্রস্তুতি কেমন তা জানতে চেয়েছি। স্পেসিফিক আসন নয়, সামগ্রিকভাবে প্রস্তুতি কতটুকু জানতে এসেছি। উনারা যতটুকু সম্ভব বলেছেন। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। সরকারের তরফ থেকেই বলা হয়েছে, যেকোনো মূল্যে ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভোট হবে।