- নাশকতার প্রমাণ পায়নি পুলিশ
ছয় বছর আগে রাজধানীর শাহবাগ থানার নাশকতার মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ^র চন্দ্র রায়সহ ৭০ জন। গতকাল রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের ১০ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকুসহ ৭০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতার প্রমাণ পায়নি পুলিশ। এ জন্য ৭০ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৭০ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তার আগের দিন ১১ ডিসেম্বর জামিন শুনানি প্রভাবিত করতে এবং বিচার বিভাগে চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে শাহবাগ এলাকায় ও হাইকোর্ট মাজার গেট-সংলগ্ন পানির পাম্পে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সেদিনই শাহবাগ থানার এসআই ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে মির্জা ফখরুলসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সম্প্রতি শাহবাগ থানার পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়েই রোববার আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দেন বিচারক।
অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামির মধ্যে রয়েছেনÑ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, খায়রুল কবির খোকন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ফজলুল হক মিলন, হাবীব উন নবী খান সোহেল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শওকত মাহমুদসহ আরও অনেকে।