ঢাকা সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ধর্ষণ মামলায় উল্টো শাস্তি পেতে যাচ্ছেন দুই নারী

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম

কিশোরগঞ্জে এক চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলায় যুবক মো. তোফাজ্জল হোসেন (২৫) অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে মামলার বাদী ও অভিযোগকারীকে আদালতে তলব করা হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া যুবক কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল মধ্যপাড়ার মৃত জামানের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর আকলিমা নামে এক নারী বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তার বোন মোছা. সুমাইয়া আক্তার পাপিয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন তোফাজ্জল। এ বিষয়ে ভিকটিমও ২২ ধারার জবানবন্দিতে একই অভিযোগ করেন। তবে মামলাটি আদালতে গড়ালে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল (বিপি নং ৮২০২০২৯৭২১) তা তদন্ত করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাননি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে বাদী নারাজি আবেদনও জানাননি। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত মামলাটি নাকচ করে আসামি তোফাজ্জলকে অব্যাহতি দনে।

জানা যায়, বাদী আকলিমা তার বোনকে ভিকটিম সাজিয়ে আসামিকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন। তদন্তের মাধ্যমে অভিযোগটি ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়। এতে বাদী আকলিমা ও তার বোন সুমাইয়া আক্তার পাপিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ১৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা।

এ কারণে কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এজন্য আগামী ২১ অক্টোবর আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য আকলিমা ও সুমাইয়া আক্তার পাপিয়ার বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করেছে বিজ্ঞ আদালত। এ বিষয়ে জানতে বাদী আকলিমার সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।