সকাল থেকে কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি, আবার কখনো মুষলধারে নেমে আসা বৃষ্টিতে গতকাল রোববার রাজধানীর স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি বাড়িয়েছে। এ সময় নগরীর কিছু এলাকার সড়কেও জলাবদ্ধতাও সৃষ্টি হয়। এতে বেশ কিছু সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। দুর্ভোগে পড়েন কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কর্মস্থলে পৌঁছতে বেগ পেতে হয়েছে মানুষকে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম-বিডব্লিউওটি জানিয়েছে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় সক্রিয় থাকবে। এই বৃষ্টিবলয়ের কারণে দেশের সব বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হবে। এ ছাড়া এ সময় দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় নিকলিতে সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময় রাজধানীতে ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
বৃষ্টির কারণে যানজট সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে ট্রাফিক বিভাগকে। একাধিক মানুষ জানিয়েছে, রাজধানীর মিরপুর, বসিলা, মোহাম্মদপুর, মগবাজারসহ বেশ কিছু এলাকার রাস্তায় সংস্কারকাজ চলার কারণে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে যানজট ভোগান্তির মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ফলে অনেকেই সময়মতো অফিসে যেতে পারেননি। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানজট কমতে শুরু করে। এ ছাড়া সকালের বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, গতকাল সকাল ৯টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন-রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশেই বৃষ্টি ঝরতে পারে। অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ১৯ সেপ্টেম্বরের পর বৃষ্টি কমে আসতে পারে, তবে সেটি নিশ্চিত করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।