রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের খসড়া  প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষার্থীদের

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশের খসড়া  প্রত্যাহারের দাবি শিক্ষার্থীদের

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির গঠন পদ্ধতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ঢাকা কলেজের একাংশের শিক্ষার্থীরা। বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) যেভাবে নতুন বিশ^বিদ্যালয়টি করতে চাচ্ছে তাতে ক্যাম্পাসগুলোর স্বাতন্ত্র ক্ষুণœ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানান তারা।

গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা কলেজ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে যৌথভাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. পিয়াস ও তানভীর আহমেদ।

লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার খসড়াকে আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। তবে, মন্ত্রণালয় কর্তৃক চাপিয়ে দেওয়া অগণতান্ত্রিক ও অংশগ্রহণহীন সিদ্ধান্ত, হাইব্রিড (স্কুলিং) পদ্ধতিকে আমরা ঘৃণাভরে ও দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিভিন্ন ক্যাম্পাসগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সদ্য প্রকাশিত স্কুলিং (হাইব্রিড) পদ্ধতির খসরার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে। 

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও বিকেন্দ্রীভূত করার লক্ষ্যে রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজকে ঢাবির অধিভুক্তি থেকে বের হয়ে একটি অভিন্ন কাঠামোর অধীনে স্ব স্ব ক্যাম্পাসগুলোর স্বাতন্ত্রতা বজায় রেখে একটি বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। এর জন্যই দীর্ঘ এক বছর আন্দোলন করে আসছি। এরই ফলস্বরূপ শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খসরা প্রকাশ করেন। কিন্তু সদ্য প্রকাশিত খসড়ায় আমরা লক্ষ করেছি যে, স্কুলিং (হাইব্রিড) সিস্টেমের মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোর স্বাতন্ত্র ক্ষুণœ হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনার বিষয়ে তারা বলেন, এই আইনের বিধান সাপেক্ষে ক্যাম্পাসগুলোর স্থাবর-অস্থাবর সকল প্রকার সম্পত্তি অর্জন করার অধিকার রাখবে এবং হস্তান্তর করার ক্ষমতা রাখিবে। পরবর্তী ধাপে বলা হয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয় এর সাতটি একাডেমিক ক্যাম্পাস থাকবে- অর্থাৎ ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস, ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত হইবে। সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ক্যাম্পাসের পরীক্ষাগারসহ অন্যান্য সমজাতীয় সুযোগ সুবিধা প্রয়োজনে শর্তসাপেক্ষে ব্যবহার করিতে পারবেন। এতে ভবিষ্যতে কলেজগুলোর এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সাত কলেজের স্বাতন্ত্রতা রক্ষা এবং শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবশ্যই অক্সফোর্ড মডেলে বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে উল্লেখ করে তারা বলেন, আমরা আন্দোলনের প্রথম থেকেই অক্সফোর্ড মডেল প্রস্তাব করেছিলাম, যেখানে (কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়) ডিগ্রি প্রদান, পাঠ্যক্রম নির্ধারণ, পরীক্ষা আয়োজন, গবেষণার দিকনির্দেশনা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে অপর দিকে, কলেজসমূহ স্বায়ত্তশাসিত, যারা প্রশাসনিক ও আর্থিকভাবে স্বাধীন হয়ে থাকে। এই মডেলে কলেজ সমূহে নিজস্ব গভর্নিং বডি ও সম্পদ থাকে। 

কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিকের বিষয়ে তারা বলেন, বর্তমানে ৫টি কলেজের ইন্টারমিডিয়েট স্তর কার অধীনে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। বিশেষত ঢাকা কলেজের ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষার গুরুত্ব ও লিগ্যাসি কীভাবে সংরক্ষিত হবে, সে সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়নি।

ঢাকা কলেজের ইতিহাস নিয়ে তারা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্পষ্টভাবে লক্ষণীয় যে, ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় ঢাকা কলেজ কার্জন হল, শহীদুল্লাহ হল, শিক্ষার্থী, বই খাতা কলমসহ সব কিছুই বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়েছে। কিন্তু আজ লক্ষণীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে দেওয়া ঢাকা কলেজের সেই ক্যাম্পাসে, সেই হলে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাই বহিরাগত হিসেবে পরিগণিত। এখন ২০২৫ সালে এসে আবার ১৯২১ সালের পুনরাবৃত্তি করা হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক ও অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত।

ইউজিসির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারা আরও বলেন, আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে এই দায়সারা খসড়া প্রত্যাহার করে সময়োপযোগী আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করতে হবে। একই সাথে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়নে সাত কলেজের প্রতিটা স্টেক হোল্ডারের মতামত ও প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। ইন্টারমিডিয়েটের শিক্ষার্থীদের এবং সাতটি কলেজের সব সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের মতামত নিতে হবে। শিক্ষক ও এ্যালামনাই সদস্যদের সাথে আলোচনা করতে হবে। ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে প্রহসনমূলক ই-মেইলের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ বাদ দিয়ে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তারা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!