গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী গত ৯ আগস্ট জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে দাবি করে দলটির একাংশের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, সেই কাউন্সিলে আমি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছি। আমরাই এখন জাতীয় পার্টির বৈধ নেতৃত্ব।
গতকাল শনিবার রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত জাতীয় পার্টির জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, তার মতো একজন দ্বৈতনীতির লোক রাজনীতিতে কতটা প্রাসঙ্গিক তা ভাবার সময় এসেছে।
আনিসুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলের পর আমরা কমিটি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি। একই সঙ্গে কাউন্সিলের ডকুমেন্ট জমা দিয়েছি। নতুন কমিটি গঠনের পর জি এম কাদের আর কোনোভাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পরিচয় দিতে পারেন না। তা ছাড়া লাঙ্গল প্রতীক কোনো ব্যক্তির নয়। লাঙ্গল প্রতীক নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত (১২ নম্বর) জাতীয় পার্টির প্রতীক। তাই আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমাদের নেতৃত্বই জাতীয় পার্টির একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব এবং লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার।
গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদার একাধিক, মালিক কে তা খুঁজে পাচ্ছি না।’ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জাতীয় পার্টি।
আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা লক্ষ করছি, কিছু পক্ষ নির্বাচন কমিশনে ভিন্ন ভিন্ন আবেদন জমা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির আবেদনে নয়, কেবল দলীয় গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের বৈধ আবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বরাদ্দ দিতে পারে।’
অতীতেও নির্বাচন কমিশন একই নীতি অনুসরণ করেছে এবং এবারও আইন, সংবিধান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করেন জাপার একাংশের চেয়ারম্যান। জি এম কাদেরের প্রসঙ্গ টেনে আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি একবার বলেন শেখ হাসিনার ফাঁসি চান, আবার বলেন আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন বৈধ হবে না। তিনি কখন কী বলেন নিজেও জানেন না। তার মতো একজন দ্বৈতনীতির লোক রাজনীতিতে কতটা প্রাসঙ্গিক, তা ভাবার সময় এসেছে।’