বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১২:২০ এএম

বললেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা 

টাইফয়েডের টিকা থেকে  একটি শিশুও যেন বাদ না যায়

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ১২:২০ এএম

টাইফয়েডের টিকা থেকে  একটি শিশুও যেন বাদ না যায়

টাইফয়েডের টিকা থেকে একটি শিশুও যেন বাদ না যায় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার ঘরে নাতি-নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে, কেউ বলেনি যে টাইফয়েডের টিকা নিচ্ছে। মানে, আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি। টাইফয়েড টিকাদান নিয়ে প্রচারণার ঘাটতি ও সামাজিক উদাসীনতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি শিশুও বাদ পড়া চলবে না। জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, সবাইকে টিকার সুযোগ দিতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫-এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নূরজাহান বেগম বলেন, ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। অথচ আজও আমাদের দেশের শিশুরা টাইফয়েডে মারা যায়, কেউ কেউ স্থায়ী অঙ্গহানির শিকার হয়। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, কারণ টাইফয়েড কোনো জটিল বা অজানা রোগ নয়Ñ এটি পুরোপুরি প্রতিরোধযোগ্য। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছি, আমি বিশ্বাস করি, আমরা এবারও সফল হব।

তিনি আরও বলেন, টাইফয়েড এমন একটি রোগ, যা অল্প বয়সি শিশুদের জীবন বিপন্ন করে। অথচ পরিবারগুলো এর গুরুত্ব বোঝে না, এমনকি অনেকেই জানে না যে টাইফয়েডের টিকা এখন দেশে পাওয়া যাচ্ছে। এটা আমাদের যোগাযোগের ঘাটতি। টিকা নিয়ে মানুষ যেন ভয় বা বিভ্রান্তিতে না থাকে, সেই প্রচারণা বাড়াতে হবে। স্কুল, মসজিদ, কমিউনিটি সেন্টারÑ সব জায়গায় বার্তা পৌঁছাতে হবে।

জনসচেতনতা তৈরিতে সমাজের সক্রিয় ভূমিকার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা শুধু সরকারের কাজ নয়। ইমাম, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধি, সমাজকর্মীÑ সবার অংশগ্রহণ দরকার। মিডিয়াও এ কাজের বড় সহযোদ্ধা। স্বাস্থ্য খাত একা সফল হতে পারে না, সামাজিক সহযোগিতাই আমাদের মূল শক্তি।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হবে শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করা। কেউ যেন বাদ না যায়। কারণ, একটি শিশু বাদ পড়া মানে একটি পরিবার ঝুঁকিতে থাকা। জন্মসনদ থাকুক বা না থাকুক, কোনো অজুহাতে শিশুকে বাদ দেওয়া যাবে না। প্রত্যেক ঘরের কাজের মানুষ, বস্তির শিশুরাও এই টিকার আওতায় আসতে হবে।

তিনি টিকাদান কার্যক্রমে প্রশাসনিক জটিলতা না বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, টাইফয়েডের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন যেন কষ্টকর না হয়। সবার জন্য এটি সহজ, বিনা মূল্যে এবং গ্রহণযোগ্য রাখতে হবে। আমাদের মানুষকে বোঝাতে হবেÑ এটা বিলাসিতা নয়, বেঁচে থাকার প্রয়োজন।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!