বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম

চকলেট খেতে বাধা দেওয়ায় মেজাজ হারালেন কামরুল ইসলাম

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৯, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম

চকলেট খেতে বাধা  দেওয়ায় মেজাজ হারালেন  কামরুল ইসলাম

আদালতে শুনানিতে চকলেট নিয়ে চটেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। মেজাজ হারিয়ে পুলিশ সদস্যদের ধমক দিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জুয়েল রানার আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এদিন তাকে শাহবাগ থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিতে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে চকলেট দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তার আইনজীবী। এর পরই চটে যান কামরুল।

তবে ঘটনার সময় এজলাসে ছিলেন না হাকিম জুয়েল রানা। এরপর আদালতের কাছে কামরুল ইসলামকে পানি ও চকলেট খাওয়ানোর অনুমতি চাওয়া হয়, কিন্তু অনুমতি পাওয়া যায়নি।

জুলাই আন্দোলনকালে রাজধানীর বাংলামোটরে আল আমিন ইসলাম ওরফে সোয়েব হত্যাচেষ্টা মামলায় কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় সকাল ১০টার দিকে। রাখা হয় ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানায়। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটের দিকে কামরুলকে এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তার হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরানো ছিল। কাঠগড়ায় নেওয়ার পর হেলমেট ও জ্যাকেট খুলে ফেলা হয়।

কামরুলকে কাঠগড়ায় নেওয়ার পরই তার আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন একটি চকলেট বের করে তাকে খেতে দেন। চকলেট হাতে নিয়েই মুখে নেন কামরুল। এটা দেখে ওই আইনজীবীকে ধমকান পুলিশ সদস্যরা। এ সময় কামরুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘আমি ডায়াবেটিসের রোগী। এ জন্য আমাকে একটা চকলেট দিয়েছে। তার জন্য তাকে বাধা দিবেন? বেয়াদব কোথাকার।’

এরপর পুলিশ সদস্যরা ওই আইনজীবীকে কাঠগড়ার সামনে থেকে সরিয়ে দেন। এরই মধ্যে হাকিম জুয়েল রানা এজলাসে ওঠেন। পরে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর কামরুলকে চকলেট ও পানি খাওয়ানোর অনুমতি চান তার আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী। তবে আদালত থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি।

শুনানি শেষে আদালতের আদেশের পর আইনজীবী আফতাব মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকের বলেন, ‘কামরুল ইসলাম ক্যানসার আক্রান্ত অসুস্থ একজন মানুষ। তার ডায়াবেটিসও রয়েছে। কারাগার থেকে সকালে তাকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তিনি ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েন। চকলেট খাওয়ার অনুমতি না দিলেও মানবিক বিবেচনায় অন্তত তাকে পানি খাওয়ানোর অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আদালত অনুমতি দেননি। বিষয়টা হতাশার।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!