রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ২৫ নভেম্বরের ভয়াবহ অগ্নিকা-ে মুহূর্তের মধ্যে শত শত পরিবার ঘরবাড়ি ও সম্পদ হারিয়ে মারাত্মক মানবিক সংকটে পড়েছে। বস্তিবাসীদের অভিযোগ, প্রতি বছরই কড়াইল বস্তিতে একাধিকবার আগুন লাগে। গত বছরও দুবার আগুন লেগেছে এখানে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে ২ হাজারেরও বেশি ঘর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। সর্বস্বান্ত এসব মানুষের ঠিকানা এখন ফুটপাতে খোলা আকাশের নিচে।
এদিকে আগুনের ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে সরকারের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, আগুনের ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘটনানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সঠিকভাবে সময় নিয়ে গভীর তদন্তে হয়তো আরও বেশ কিছু তথ্য-প্রমাণ হাতে আসবে, সেগুলো পেলে আগুন লাগার ঘটনাটি আরও ভালোভাবে জানা যাবে।
এদিকে আগুনের ঘটনায় পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক গুরুত্ব অনুধাবন করে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জরুরি মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে আজ ২৮ নভেম্বর বস্তির অভ্যন্তরে একটি মানবিক সেবাকেন্দ্র চালু করেছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের নির্দেশনায় গতকাল দুপুরে এ সেবাকেন্দ্রের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এ সময় মহাপরিচালক বলেন, ‘এই সেবাকেন্দ্রের লক্ষ্য হলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে প্রাথমিক মানবিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে জরুরি খাদ্য, পানি ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করে তাদের জীবনের নিরাপত্তা সহায়তা ও কিছুটা স্বস্তি নিশ্চিত করা।’ উদ্যোগটি সাহায্যকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জরুরি মানবিক সহায়তাব্যবস্থায় একটি কার্যকর সংযোজন হিসেবে বিবেচিত।
সরকারি বিভন্ন সংস্থার তথ্যমতে, মোটাদাগে কারণগুলো উঠে আসে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের তদন্তে। কিন্তু তাতে আগুন লাগা বন্ধ হয়নি, নিঃস্ব হওয়া বাসিন্দারা কোমর সোজা করে দাঁড়াতেই আবারও নিঃস্ব হওয়ার করুণ পরিণতিও শেষ হচ্ছে না। কখনো কখনো বছরে দু-তিনবারও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে কড়াইল বস্তিতে।
এদিকে এখন পর্যন্ত আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসী পর্যাপ্ত সহায়তা পায়নি। কড়াইলে গিয়ে গতকাল কথা হয় বস্তির বাসিন্দা আলম ও রেহানার সঙ্গে। তারা জানান, অনেকেই সহায়তা করলেও আমরা তেমন কিছু পাইনি।
রূপালী বাংলাদেশের বর্ষপূর্তি আয়োজনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষে সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ফুলের শুভেচ্ছা জানায়। এ সময় রূপালী বাংলাদেশের প্রধান সম্পাদক করিম আহমদ ও সম্পাদক ও প্রকাশক মো. সায়েম ফারুকী উপস্থিত ছিলেন

