শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

সারাদেশে মানববন্ধন ও দোকান বন্ধের ঘোষণা মোবাইল ব্যবসায়ীদের

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

সারাদেশে মানববন্ধন ও  দোকান বন্ধের ঘোষণা  মোবাইল ব্যবসায়ীদের

বাস্তবায়িত হতে যাওয়া ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টি রেজিস্ট্রার’ বা এনইআইআর ব্যবস্থায় নিজেদের দাবিদাওয়া অন্তর্ভুক্তকরণের উদ্দেশে আজ রোববার দেশজুড়ে দোকান বন্ধের ডাক দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এই আহ্বানের মাধ্যমে দেশজুড়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি বন্ধ রেখে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ (এমবিসিবি)। রাজধানী ঢাকার বৃহৎ বিপণিবিতানগুলোর পাশাপাশি বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোতে এই কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। এমবিসিবি বলছে, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে চালু হতে যাওয়া এনইআইআর ব্যবস্থার নীতিমালায় দেশের প্রায় ২০ হাজার ব্যবসায়ীর কোনো স্বার্থ বিবেচনা করা হয়নি। তাই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে তাদের এই কর্মসূচি।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ পিয়াস রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমরাও চাই এনইআইআর ব্যবস্থা চালু হোক, কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ ব্যবসায়ী এবং এ ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষের রুজি-রুটি নষ্ট করে নয়। প্রস্তাবনা এখন যে পর্যায়ে আছে, তাতে শুধু একটি গোষ্ঠীই এখানে লাভবান হবে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমরাসহ দেশের সাধারণ গ্রাহক ও ভোক্তা শ্রেণি। আমরাও সরকারকে যথাযথ রাজস্ব দিয়ে আনুষ্ঠানিক উপায়ে হ্যান্ডসেট আমদানি করে ব্যবসা করতে চাই, কিন্তু একটি গোষ্ঠীর ফয়দা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট মহল আমাদের দাবিতে কর্ণপাত করছে না। আমাদের দাবি বিটিআরসি বিবেচনা করছে, এমন নজিরও দেখছি না। তাই এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছি।’

দোকান বন্ধের পাশাপাশি দেশজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান পিয়াস। তিনি বলেন, ‘দোকান বন্ধ করে রাজধানীসহ পুরো দেশের ব্যবসায়ীরা শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। আমাদের উদ্দেশ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে জনমত গঠন করা। এর আগে গভীর রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হাসিনার ভাড়াটে গু-াবাহিনীর মতো ব্যবহার করে একজন সাংবাদিক এবং আমাকে তুলে নেওয়া হয়েছিল, আমাদের সংবাদ সম্মেলন বানচাল করতে। প্রবল সমালোচনা এবং গণবিক্ষোভের মুখে আমাদের ছেড়ে দিলেও, আমাদের সঙ্গে সরকারের কোনো পক্ষ আলোচনায় বসেনি। আমাদের দেওয়া চিঠিরও জবাব দেয়নি বিটিআরসি। কাজেই সরকারের কাছে দাবিদাওয়া পেশ করতে এবং সেগুলো যেন তারা বিবেচনা করেন; সেই লক্ষ্যে এই মানববন্ধন এবং দোকান বন্ধের কর্মসূচি পালন করা হবে।’

প্রসঙ্গত, আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে হ্যান্ডসেট নিবন্ধন ব্যবস্থা তথা এনইআইআর চালুর ঘোষণা দিয়েছে বিটিআরসি। তবে এর কিছু শর্ত নিয়ে আপত্তি রয়েছে সাধারণ মোবাইল বিক্রেতাদের। এজন্য দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন তারা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!