শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম

ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা পড়া ভয়াবহ বিপদের লক্ষণ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

রাতে শুতে যাওয়ার পর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন বালিশ ভেজা- কারণ ঘুমের মধ্যে মুখ দিয়ে লালা পড়েছে! অনেকেই বিষয়টিকে হালকা ভাবে নেন। কেউ কেউ আবার মজা করে এড়িয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত এমন হলে এটি হতে পারে স্নায়ুর সমস্যা, স্ট্রোক কিংবা স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো মারাত্মক রোগের আগাম সতর্কতা।

সব সময় বিষয়টি স্বাভাবিক নাও হতে পারে। তাই ঘুমের মধ্যে লালা ঝরার কারণ ও বিপদের লক্ষণ জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি।

কেন ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা পড়ে?

মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস: নাক বন্ধ থাকা, সাইনাসের সমস্যা বা সর্দির কারণে অনেকেই রাতে মুখ খুলে শ্বাস নেন। এতে সহজেই লালা মুখের বাইরে বেরিয়ে আসে।

অতিরিক্ত লালা উৎপাদন (হাইপারসালিভেশন): কিছু মানুষের স্বাভাবিকভাবেই লালার উৎপাদন বেশি হয়। দাঁতের সমস্যা, মাড়ির প্রদাহ কিংবা পাকস্থলীর অ্যাসিডের সমস্যা থেকেও এটি হতে পারে।

ভুল ঘুমের ভঙ্গি: কাত হয়ে বা উপুড় হয়ে ঘুমালে মাধ্যাকর্ষণের কারণে লালা বাইরে পড়ে যেতে পারে।

টনসিল বা অ্যাডিনয়েডের সমস্যা: টনসিল বা অ্যাডিনয়েড বড় হলে নাক দিয়ে শ্বাস চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। তখন মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে গিয়ে লালা ঝরতে পারে।

ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ও নিউরোলজিক্যাল ওষুধ লালার নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে রাতে এই সমস্যা দেখা দেয়।

এই লক্ষণ কোন কোন গুরুতর রোগের ইঙ্গিত হতে পারে?

স্নায়ুরোগ: পারকিনসনস ডিজিজ, এএলএস, সেরিব্রাল পালসির মতো রোগে মুখের পেশির নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে যায়। ফলে লালা জমে পড়ে যায়।

স্ট্রোকের প্রাথমিক সংকেত: মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ বা রক্তক্ষরণ হলে মুখের পেশি দুর্বল হয়ে যায়, লালা ধরে রাখতে সমস্যা হয়।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: ঘুমের সময় শ্বাস বারবার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রোগে আক্রান্তরা মুখ খুলে শ্বাস নেন। এর ফলে লালা নিঃসরণ বাড়ে।

মুখ বা গলার সংক্রমণ: টনসিলাইটিস, ফ্যারিঞ্জাইটিস কিংবা ওরাল থ্রাশে লালার পরিমাণ বেড়ে যায়।

অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা GERD: পাকস্থলীর অ্যাসিড মুখ পর্যন্ত উঠে এলে লালা অতিরিক্ত তৈরি হয়।

যে যে লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন

১. নিয়মিত ও অতিরিক্ত লালা পড়া।

২. কথা বলতে বা গিলতে অসুবিধা হওয়া।

৩. মুখের এক পাশ বেঁকে যাওয়া বা হাত-পা অসাড় লাগা।

৪. ঘুমের মধ্যে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া।

৫. দিনে অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব।

৬. লালার সঙ্গে রক্ত, দুর্গন্ধ বা তীব্র ব্যথা।

এই উপসর্গগুলোর যেকোনো একটি থাকলে দ্রুত নিউরোলজিস্ট বা ইএনটি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

চিকিৎসকদের পরামর্শ

চিকিৎসকদের মতে, ঘুমের সময় মুখ দিয়ে লালা পড়া সব সময় ক্ষতিকর নয়, তবে যদি এটি নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয় এবং এর সঙ্গে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা যুক্ত থাকে, তাহলে অবহেলা করা বিপজ্জনক হতে পারে।

Link copied!