তুরস্কের প্রথম মানববিহীন যুদ্ধবিমান বায়রাকতার কিজিলেলমা আরও একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। জেট ইঞ্জিনচালিত একটি চলন্ত লক্ষ্যবস্তুকে দৃষ্টিসীমার বাইরের দূরত্বে (বিভিআর বা ৪০ কিলোমিটারের বেশি দূরে) আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত করে নতুন মাইলফলক গড়েছে এই যুদ্ধবিমান।
গত রোববার বিষয়টি জানায় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কার।
তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে। তুর্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এন-সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে বায়কার জানায়, ‘বিশ্বে প্রথমবারের মতো কোনো মানববিহীন যুদ্ধবিমান বিভিআর শ্রেণির এয়ার-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চলন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল।’
বায়কারের বিবৃতিতে বলা হয়, কিজিলেলমা স্থানীয়ভাবে তৈরি ‘গোকদোয়ান’ নামে আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে এবং তা উচ্চগতির জেটচালিত লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হানে। লক্ষ্য শনাক্ত ও অনুসরণ করা হয় তুরস্কের স্থানীয় প্রযুক্তিতে আসেলসান নামক কোম্পানি নির্মিত মুরাদ অ্যাকটিভ ইলেকট্রনিক্যালি স্ক্যানড অ্যারে বা এইএসএ রাডার ব্যবহারের মাধ্যমে। এরপর কিজিলেলমার ডানার নিচে স্থাপিত পড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।
তুরস্কের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো যুদ্ধবিমান নিজস্ব রাডার ব্যবস্থাপনায় তৈরি আকাশ থেকে আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে জেটচালিত উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করল। এ সফলতায় কিজিলেলমা বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র মানববিহীন প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশযুদ্ধে সক্ষমতার স্বীকৃতি পেল। এ মাসে কিজিলেলমার ধারাবাহিক পরীক্ষার অংশ এটি। এর আগে একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তু করেও পরীক্ষামূলক অভিযান চালায় এটি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন