খুলনায় ডাবল মার্ডারের ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও নিহতদের পরিবারের কেউ মামলা করতে আসেনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি মামলা করেছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ থেকে ১৪ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
এর আগে গত রোববার দুপুরে আদালত ভবনের প্রধান গেটের সামনের সড়কে হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজনকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ঘটে জনসমক্ষে, আদালতপাড়া সংলগ্ন ব্যস্ত এলাকায়।
পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুর সম্পৃক্ততার তথ্য তাদের হাতে রয়েছে।
ঘটনার পর সোমবার রাতে নতুনবাজার চর স্কুল গলি এলাকা থেকে সন্দেহভাজন মো. রিপন ওরফে ইহুদি রিপনকে আটক করে পুলিশ। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রিপন ওই এলাকার জলিলের ছেলে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর তিন দিন পার হলেও নিহতদের পরিবারের কেউ মামলা করতে এগিয়ে আসেননি। দুটি হত্যাকাণ্ড—এভাবে আমরা বসে থাকতে পারি না। তাই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই প্রযুক্তিগত তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। হামলাকারীদের কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
আটক রিপন সম্পর্কে ওসি জানান, তিনি একসময় কুখ্যাত ইহুদি বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এই বাহিনীর প্রধান ২০০৩ সালে ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর গ্রুপটি বিলুপ্ত হলেও এর সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধী গোষ্ঠীতে সক্রিয় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন