কামালের জমি-গাড়ি ও অসীমের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নামে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে থাকা ১৭৭ শতাংশ জমি এবং দুটি গাড়িসহ ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদ ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ কামরুল  হাসান খান এ আদেশ দেন। এর আগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। 

দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম জানান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এসব সম্পদ ক্রোক আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের জমি এবং দুটি গাড়ি জব্দের আদেশ দেন। জব্দ হওয়া সম্পদের বর্তমান বাজারমূল্য ৪ কোটি ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে বলেছেন, আসামি আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১৬ কোটি ৪১ লাখ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রাখা এবং ৮টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৫৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা লেনদেন করায় দুদক মামলা দায়ের করেছে। মামলাটি তদন্তের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

এদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিলের ছয়টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন এ আদেশ দেন।

দুদক জানিয়েছে, নেত্রকোনা-৩ আসনের সাবেক এমপি অসীম কুমারের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ থাকায় তার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক  জানিয়েছে, অসীম কুমারের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক রাসেল রনি আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, অনুসন্ধানকালে অসীম কুমার উকিলের নামে এসব ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থা জানতে পেরেছে যে, অসীম কুমারের নামে থাকা এসব ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ অন্যত্র ‘স্থানান্তর, হস্তান্তর বা বেহাত’ করার চেষ্টা করছেন। এটি হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে তা উদ্ধার করা দুরূহ হয়ে পড়বে। এমতাবস্থায় এসব ব্যাংক হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক মনে করছে দুদক।