‘দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই’ এ ধরনের ন্যারেটেভি তৈরির বিরুদ্ধে ক্রমেই সোচ্চার বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল। কিছুদিন আগেও সরকারের বিরুদ্ধে কিছু ব্যর্থতার অভিযোগ আনা দলগুলোর মাঝে হালে কথায় ব্যাপক পরিবর্তন। ব্যর্থতার বদলে সম্প্রতি তারা নির্বাচনের বিষয়ে সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে সরাসরি গরিমসির অভিযোগ আনছে। বলছে, সরকারের ভেতরের একটি অংশ নির্বাচন দিতে চায় না, ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়। এ কাজে জামায়াত-এনসিপির প্রতি সরাসরি আঙুল তুলছে বিএনপি। সংস্কার নিয়ে অতিকথনেও বিরক্ত দলটি। সংস্কারের চেয়ে খানাপিনা বেশি হয়ে যাচ্ছে –এমন অভিযোগ পর্যন্ত ছুড়েছে।
কিছু ঘটনা ও নমুনায় নির্বাচনকেই এক নম্বর দাবিতে নিয়ে আসার চেষ্টা লক্ষণীয়। নির্বাচন বিলম্বিত করতে ‘দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার ভাষায়: নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রে যেতে হবে, সেটাই এ টু জেড ডেমোক্রেসি। এমন মতামতে সমমনাদেরও সায় মিলছে। তারাও রাখঢাক না রেখে বলছে, নির্বাচনই বর্তমান সংকট উত্তরণের একমাত্র উপায়। রাজনীতির বাইরের অনেকেও বলতে শুরু করেছেন, বিদ্যমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি নির্বাচিত সরকার ছাড়া সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। নির্বাচনে যত দেরি হবে অঘটন ও সংকট তত বাড়বে। জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি এভাবে ভাবছে না। তাদের গুরুত্ব বেশি সংস্কারে।
সংস্কারকে চলমান রেখে নির্বাচনকে লক্ষ্য করার তাগিদ তাদের। সূক্ষ্ম এ মতবিরোধ বড় হয়ে যাচ্ছে কয়েকটি দলের ভাষাগত প্রকাশের কারণে। তবে, কেউই অস্বীকার করছেন না, দেশ নৈরাজ্যের মধ্যে পড়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হলে তা কেটে যাবে বলে বিশ্বাস ও নানা যুক্তি রয়েছে। বলা হচ্ছে, সরকার আন্তরিক হলে আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন সম্ভব। আর সংস্কার কার্যকর করবে নির্বাচিত সরকার। যা আগেই ঠিক করে রাখবে এ নিয়ে কাজ করা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বিএনপি ন্যূনতম সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের দাবি করে আসছে প্রায় শুরু থেকেই। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি না করার আহ্বান জানিয়েই আসছেন প্রায়ই। এর মাঝে কোনো ‘যদি-কিন্তু-তবে’- দেখতে চায় না বিএনপি।
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকা সমমনা কোনো কোনো দল সেখানে নানা বাগড়া দিচ্ছে, বিএনপি তা অবহিত। আবার তাদের চটাচ্ছেও না। পিঠ বুলিয়ে চলছে। এটিও তাদের কৌশল। গণতন্ত্রের জন্য এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার প্রতিবাদে সৃষ্ট গণউপেক্ষার পটভূমিতে হয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধ। কিন্তু স্বাধীন দেশেও নির্বাচনের নামে তামাশা চলেছে। স্বাধীন দেশে প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৭৩ সালে। সেখানে ২৭৩ আসন কেড়ে নেওয়ার পরও আওয়ামী লীগের মন ভরেনি। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে এর সঙ্গে আরও তামাশা যোগ করেছে এ দলটি। নির্বাচনের আগেই নির্বাচিত হয়ে যাওয়া, দিনের ভোট আগের রাতে এবং সর্বশেষ আমি-ডামির মশকরায় মানুষকে বিষিয়ে তুলেছে। এ অপকর্মে তাদের সরাসরি মদত জুগিয়েছে ভারত। যার অনিবার্য পরিণতি চব্বিশের ৫ আগস্ট নজরিবিহীন গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন। ভারত পলায়ন।
গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাই সঙ্গত কারণেই মূল আকাক্সক্ষা একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এ সরকারের ওপর। জুলাই-আগস্টে হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার। এ দুটি কাজ দীর্ঘমেয়াদি বা সময়সাপেক্ষে। নির্বাচন সম্পন্ন করা তত সময়সাপেক্ষ নয়। এমন যুক্তি ও অভিমতে একমত নয় কোনো কোনো দল, বিশেষ করে এনসিপি। এনসিপি নেতাদের বক্তব্য, বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হবে না। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনের কথাবার্তাও প্রায় কাছাকাছি।
তারা না জেনে না বুঝে এসব করছে- তা কিন্তু নয়। এসব দলও জানে, গত আমলে অনুষ্ঠিত কোনো নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। বিনা ভোটের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। যাদের বয়স এখন অন্তত ৩২ বছর তাদের কেউই জীবনে ভোট দিতে পারেনি। ভোটারদের মধ্যে তাদের সংখ্যাই বেশি। তারা প্রথম ভোটদানের জন্য অস্থির। এমতাবস্থায়, সব দিকের বিচার বিশ্লেষণে দ্রুত নির্বাচন হওয়া জরুরি ও অত্যাবশ্যক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। বিএনপিও দেশের সার্বিক অবস্থা ও মানুষের অভিপ্রায় বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলছে। নির্বাচন দ্রুত বা বিলম্ব যখনই হোক, বৃহত্তম দল হিসাবে নির্বাচনে বিএনপিই জিতবে ও সরকার গঠন করবে, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই কারোর। বিএনপিও সেটা জানে। তারপরও বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের কথা বলছে দেশ ও মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে। সরকার এটা উপলব্ধি করেই নির্বাচন আগামী বছর রমজানের আগে করার চিন্তা কার্যত স্থির করে ফেলেছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত লন্ডন বৈঠকের প্রেক্ষিতে সরকার এই টাইমলাইন নির্দিষ্ট করেছে।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে তার প্রেস উইং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর আর বিপত্তি থাকার কথা নয়। অথচ, বাস্তবে বিপত্তি বাড়ছে। গোলমাল পাকছে, পাকানো হচ্ছে। আগে বিচার-সংস্কার, পরে নির্বাচন, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতে ভোটের হিসাব, উচ্চকক্ষ-নি¤œকক্ষসহ নানা ফ্যারকা সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। আর এ-ই ফ্যারকায় নির্বাচন পেছানোই এসবের উদ্দেশ্য বলে সন্দেহ হওয়া স্বাভাবিক।
অর্থনীতি এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মহলেও এ নিয়ে চরম অস্বস্তি। কয়েক বছর ধরেই চাপে রয়েছে অর্থনীতি। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পরিবর্তন হয়েছে। হাসিনার পালানো ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ে কিছুটা ইতিবাচক প্রবণতা এলেও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে একেবারেই ধীরগতি। নতুন নতুন বিনিয়োগের কথা বলা হলেও কার্যত নতুন বিনিয়োগ বন্ধ, পুরোনো বিনিয়োগে স্থবিরতা এবং শিল্প উৎপাদনে স্থবিরতা দেশের অর্থনৈতিক গতি রুদ্ধ করছে। এতে করে ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম উৎকণ্ঠায়। তারপরও আইনশৃঙ্খলার অবনতি। সরকার কোনো কিছুই ঠিক করতে পারছে না। জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা আদায়ের দাবিতে আন্দোলন-হামলার ঘটনায় কিছু পোশাক কারখানা এবং অন্যান্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। উৎপাদনশীল খাতে যুক্ত শ্রমিকদের একটি অংশ বেকার হয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও সাইবার হুমকির কারণে বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ সবের অন্যতম কারণ, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর প্রায় এক বছর পূর্ণ হতে চললেও অর্থনীতির গতি ফেরেনি, বিদেশিরা নতুন বিনিয়োগ করেনি। ঢাকঢোল পিটিয়ে বিনিয়োগ সম্মেলন করা হলেও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য বিদেশিরা জানিয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে বিনিয়োগের সাহস পাচ্ছেন না।
নির্বাচিত সরকার এলেই তারা নতুন নতুন বিনিয়োগ করবেন। মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, কর্মসংস্থান সংকট, রপ্তানি হ্রাস এবং রাজস্ব ঘাটতিতে অর্থনীতি এখনো নানা অনিশ্চয়তায় ঘেরা। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পাল্টা শুল্ক, ভারতের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং বৈশ্বিক বাজারের অনিশ্চয়তা রপ্তানির ওপর চাপ তৈরি করেছে। গত ১০-১১ মাসে ব্যবসা-বাণিজ্যে চরম অস্থিরতা। বিনিয়োগে স্থবিরতা। নিত্যপণ্যের বাজার বেসামাল। কর্মসংস্থানে কেবল খরা নয়, নতুন বহু বেকার তৈরি হয়েছে অনেক মিলকারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। ফলে প্রায়ই নানা দাবি-দাওয়া ও ইস্যুতে বর্তমান সরকারকে নাস্তানাবুদ করে ফেলা হচ্ছে। সবকিছুতেই যেন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এমনকি বৈশ্বিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা ফিচ রেটিংয়ের মূল্যায়নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস নেতিবাচক হিসেবেই বহাল থাকছে।
একই সঙ্গে বৈশ্বিক ঋণমান নির্ণয়কারী আরও দুই বড় প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল এবং মুডিস ইনভেস্টর সার্ভিসও বাংলাদেশের ঋণমান কমিয়েছে। অথচ নির্বাচিত সরকার থাকলে পরিস্থিতি এমন হতো না। তাই জাতীয় নির্বাচনকেই বহুমুখী এসব সংকট সমাধানের একমাত্র পথ বলছেন অভিজ্ঞ অর্থনীতিবিদসহ ব্যবসা-বাণিজ্য জগতের সংশ্লিষ্টরাও। অভিজ্ঞতার আলোকেই তারা বলছেন, রাজনৈতিক সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না, বিনিয়োগ আসবে না। যারা বিনিয়োগ করে রেখেছেন, তারাও পড়েছেন বিপদে। তাদের জন্য যে ন্যূনতম সহায়তা থাকা দরকার, তা নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। ইউটিলিটি ফ্যাসিলিটিতে ব্যাপক ঘাটতি। উদ্যোক্তারা সময়মতো প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ ও গ্যাস পাচ্ছেন না, রপ্তানি ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানিতেও দেখা দিচ্ছে জটিলতা। ‘টাকার অবমূল্যায়নের ফলে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। তার ওপর এলসি খোলায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, যা কার্যত আমদানি কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা দেশের অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, দ্রুত নির্বাচনে তা অনেকটা কাটতে পারে বলে নিশ্চিত ব্যবসায়ীরাও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অর্থনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দেরও বক্তব্য- রাজনৈতিক সরকার ছাড়া দেশে স্থিতিশীলতা আসবে না, বিনিয়োগ আসবে না। কারণ সবাই মনে করে এই সরকার আজকে আছে-কালকে নেই। তাই সরকারের উচিত সুস্পষ্ট করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণ করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব ছিল সংস্কার করা এবং বিগত রেজিমের যারা অপরাধী তাদের বিচার করে রাজনৈতিক সরকারের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এখনো এটি করা না হলে, সেই আগের অবস্থাতেই দেশ ফিরে যাবে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিগত ৯ মাসে কী সংস্কার করেছে, কি বিচার করেছে কেউ জানে না।
সবকিছু অস্পষ্ট। আবার নির্বাচনের রোডম্যাপও ঘোষণা করছে না। সেটিও অস্পষ্ট। আসলে সব কিছুই হতাশাজনক। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যে উপদেষ্টাদের নিয়োগ দিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকগুলোই কোনো কাজের না। অথচ অনেকদিন উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনও হচ্ছে না। বর্তমান উপদেষ্টাদের বেশির ভাগই রাষ্ট্র বোঝেন না, রাষ্ট্র চালাতে জানেন না। মনে রাখতে হবে, এনজিও চালানো আর রাষ্ট্র চালানো এক বিষয় না। ফলে মানুষের মধ্যে পাহাড়সম প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার, বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার অলিগার্কদের বিচার করা এবং দীর্ঘদিন ধরে বঞ্চিত ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সরকারপ্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসও বিভিন্ন সময় তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন, তিনি দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান।
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ এ সংকট উত্তরণের অন্যতম উপায়, এতে স্বাভাবিক হবে দেশের পরিস্থিতি আর নির্বাচন যত দেরি হবে দেশ ও গণতন্ত্র তত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলার দিন দিন অবনতি হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কারের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় নির্বাচনের পথে হাঁটা উচিত সরকারের, তাহলেই রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত হবে। তৈরি হবে একটি ভিন্ন আবহ। যা স্বস্তি দেবে রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সব সেক্টরকেই।
আপনার মতামত লিখুন :