বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


সম্পাদকীয়

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:০২ এএম

আগামী নির্বাচনে দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক

সম্পাদকীয়

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:০২ এএম

আগামী নির্বাচনে দৃষ্টান্ত স্থাপন হোক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাস তথা আগামী রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন। তিনি এও বলেছেন, নির্বাচনের দিনকে  ঈদ উৎসবের মতো করতে চান। আনন্দমুখর পরিবেশে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় কাজ করছে তার সরকার।  

সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, ‘আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করে এ দেশের সব নাগরিক একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার কাজে সফলভাবে এগিয়ে যেতে পারে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখরভাবে সম্পন্ন করা যায়, সে জন্য সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা দেব।’ 

প্রধান উপদেষ্টা এ বক্তব্যে আশার আলো দেখছে দেশের জনগণ। কেননা বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ এক ক্রান্তিকালের মধ্যদিয়ে অতিক্রম করছে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে তাকালে দেশের জনগণ হতাশা ও ক্ষোভের সঙ্গে স্মরণ করে, কীভাবে তাদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন; ২০১৮ সালে রাতের আঁধারে ব্যালট ভর্তি হয়ে গিয়েছিল; আর ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একতরফা। এসব নির্বাচনে জনগণের মতামত অবজ্ঞা করে ক্ষমতায় যাওয়া সরকারের পতন হয়েছে নির্মমভাবে। 

এই প্রেক্ষাপটে আগামী জাতীয় নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের এক ঐতিহাসিক সুযোগ। এ সুযোগ হাতছাড়া হলে জনগণের আস্থা, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই নির্বাচন হতে হবে একটি দৃষ্টান্তমূলক নির্বাচন, যেখানে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে, প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো সমান সুযোগ পাবে, প্রশাসন থাকবে নিরপেক্ষ, এবং নির্বাচন কমিশন কাজ করবে স্বাধীনভাবে।

দেশবাসী আবার ভোট দিতে চায়। মানুষ চায় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে স্বাধীনভাবে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মধ্য দিয়েই এই আকাক্সক্ষা পূরণ হতে পারে। এজন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও আন্তরিকতা প্রয়োজন, পাশাপাশি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের হতে হবে সাহসী ও দায়িত্বশীল।
সম্প্রতি জুলাই মাসে সংঘটিত ‘অভ্যুত্থান’ জাতিকে নতুন করে নাড়া দিয়েছে। একদিকে এটি গণআন্দোলনের  জাগরণ, অন্যদিকে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনরোষের বহির্প্রকাশ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে একটি যুগের অবসান ঘটেছে, এখন প্রয়োজন নতুন যুগের সূচনা, যা একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা গড়ে তুলবে।

আগামী নির্বাচন শুধু সরকার গঠনের একটি উপায় নয়, এটি হওয়া উচিত দেশের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন এবং রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ গঠনের ভিত্তি। গণতন্ত্র শুধু একটি শব্দ নয়, এটি জনগণের অধিকার, সম্মান ও ভবিষ্যতের প্রশ্ন। সেই গণতন্ত্র রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, বর্তমান সরকার স্বৈরাচারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এমন একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি গর্বের ইতিহাস হয়ে ওঠে। 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!