বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম

ঝিনাইদহে বিএনপি-জামায়াত সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১৫

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম

ঝিনাইদহ থানা।  ছবি- সংগৃহীত

ঝিনাইদহ থানা। ছবি- সংগৃহীত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ইসলামপুর-হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয় চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের মধ্যে বিএনপি সমর্থিত মাসুদুর রহমান, রহমত উল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, ইমদাদুর রহমান, জামায়াত সমর্থিত শামীম হোসাইন, মুক্তার বিশ্বাস, সফর আলী, তোতা মিয়া, জহুরুল ইসলামসহ ১৫ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় চার মাস আগে ইসলামপুর-হরিপুর কবি ফজের আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪ সদস্যবিশিষ্ট বিদ্যালয় পরিচালনা (আহ্বায়ক) কমিটি গঠন করা হয়। সেখানে আহ্বায়ক করা হয় জামায়াত সমর্থিত জহুরুল ইসলামকে, ফলে বিএনপি সমর্থিতদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। 

এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় বিএনপি সমর্থিতদের সঙ্গে তাদের বিরোধ তৈরি হয়। মাঝেমধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হতো। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকালে বর্তমান আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম স্কুলে গেলে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আহত হন অন্তত ১৫ জন। 

জামায়াত সমর্থিত বর্তমান আহ্বায়ক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসন, শিক্ষা কর্মকর্তা ও আমরাসহ সব পক্ষের মানুষ মিটিং করে বোর্ডের মাধ্যমে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে এবং আমি আহ্বায়ক হয়েছি। প্রথমদিন আমরা স্কুলে গেলে তারা বাধা দেয়। বৃহস্পতিবারও একই ঘটনার পনুরাবৃত্তি হয় এবং তারই জেরে এই মারামারি।’

অভিযোগের বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন, ‘সকালেই ফোন আসে স্কুলে দুপক্ষের সংঘর্ষ হতে পারে, এরপর আমি সেখানে নেতাকর্মীদের নিয়ে ছুটে যাই মীমাংসা করার জন্য। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলার সময় জহুরুল ও তার ভাইসহ তাদের সমর্থকরা এসে আমার সঙ্গে থাকা লোকজনের ওপর মারধর শুরু করে। ওরা ভোর থেকেই লাঠি-রামদা নিয়ে স্কুলে বসে ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান যে আহ্বায়ক কমিটি তার তো কোনো বৈধতা নেই। তারপরও ওরা জোর করে দখল করে থাকবে, মাস্টারদের মাস্টারি করতে দেবে না। এটা তো ঠিক না।’

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Shera Lather
Link copied!