ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০২৫

সিনেমা আমার ভালোবাসার জায়গা

রুহুল আমিন ভূঁইয়া
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৫, ০১:৫২ এএম

এ প্রজন্মের চিত্রনায়িকা তানহা তাসনিয়া ইসলাম। মডেলিং-এর মাধ্যমে নাম লেখান সিনেমায়। ‘ভোলা তো যায় না তারে’ সিনেমা দিয়ে শুরু, এরপর কাজ করেন ‘ধূমকেতু’ ও ‘ভালো থেকো’ নামের সিনেমায়। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি নিয়মিত নাটকে অভিনয় করছেন তানহা। চলমান কর্মব্যস্ততা ও পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুহুল আমিন ভূঁইয়া
ব্যস্ততা

নতুন দুটি ধারাবাহিকের কাজ চলছে। একটি এনটিভির জন্য নির্মাণ করছেন শামস করিম। নাম ‘৭ কিলো এক গ্রাম’। আমার বিপরীতে আছেন মোশাররফ করিম ভাই। আরটিভির জন্য নির্মিতব্য ‘বোকা পরিবার’ ধারাবাহিকটিতে সহশিল্পী মীর সাব্বির। পাশাপাশি একক নাটক করছি। আপাতত এ নিয়েই ব্যস্ততা।
৭ কিলো এক গ্রাম

এই ধারাবাহিকে আমি গ্রামের প্রতিবাদী মাস্টারের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। যে কিনা সমাজের নারীদের জন্য বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে, অন্যায়ের সঙ্গে কখনো আপোষ করে না। মোশাররফ ভাই বিদেশ ফেরত সুরুজ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দর্শক নাটকটি দেখে মজা পাবে।
নাটকেই বেশি দেখা যায়

এটা ঠিক এখন নাটক নিয়েই বেশি ব্যস্ততা। দর্শক আমাকে নিয়মিত নাটকে দেখতে চায় যে, কারণে নিয়মিত কাজ করছি। তবে ভালো সিনেমার প্রস্তাব পেলে অবশ্যই কাজ করব। তা ছাড়া সিনেমার জন্য অনেক প্রস্তুতির দরকার হয়। সিনেমা আমার ভালোবাসার জায়গা। ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে নতুন সিনেমায় দেখা যাবে।
ওটিটি

এখন ওটিটির জোয়ার চলছে। সহকর্মীদের অনেককেই এখন ওটিটিতে বেশি দেখা যায়। আমারও এ মাধ্যমে কাজের আগ্রহ আছে। সে জন্য আরও ফিট হতে হবে। বছর দুয়েক আগে ‘ডোম’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছিলাম। সামনে ওটিটিতে কাজ করার পরিকল্পনা আছে। এখন সে জন্য নিজেকে ফিট করছি।
জুটি

এরই মধ্যে বেশকিছু নাটকে দর্শক আমাকে মোশাররফ করিম ভাইয়ের সঙ্গে জুটি হিসেবে দেখেছে। সেগুলো তারা পছন্দও করেছে। আমরা দর্শকদের জন্য কাজ করি। দর্শক যার সঙ্গে বেশি পছন্দ করবেন, তার সঙ্গেই দেখা যাবে। আগামী মাসে আমাদের নতুন একটি ধারাবাহিক আসছে। এরই মধ্যে আমাদের জুটির ‘ফাউল’ ধারাবাহিকটি প্রচার শেষ হয়েছে। সামনে আরও একক নাটক আসবে।  
বিদেশ ভ্রমণ

আমি ঘুরতে পছন্দ করি। দেশের বাইরে অনেক স্টেজ শো থাকে। সম্প্রতি ইউরোপের পাঁচটি দেশে শো ছিল। প্রায় এক মাসের ট্যুর ছিল। শোয়ের পাশাপাশি ঘোরাঘুরি করা হয়। অনেক সময় শুটিংয়ের জন্যও যাওয়া হয়। অবসার পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে যাই। আমি অনেক ভ্রমণপিপাসু। এখনকার মানুষের অনেক রকমের বিষণœতা। অনেক সমস্যায় জর্জরিত জীবন। বিষণœতায় মেডিসিন না খেয়ে ভ্রমণে বেরিয়ে যাওয়া ভালো। এর চেয়ে শান্তি কোথাও নেই। যেটা আমি করি। ভ্রমণ করলে নিজেকে খুঁজে পাই এবং কাজে মন দিতে পারি। মানসিকতা ভালো থাকে। এ পর্যন্ত ১৫টির বেশি দেশ ঘুরেছি। কখনো জীবনের পার্টনার, পরিবার আবার কখনো সহকর্মীরা ভ্রমণে সঙ্গী হয়।
স্মৃতি

এই মুহূর্তে দুটি স্মৃতি মনে পড়ছে। তবে তা আমার জন্য সুখকর ছিল না। মালয়েশিয়া যাব লাউঞ্জ-এ বসে খাচ্ছি। কারণ, আমাকে তো সময় হলে ডাকা হবেই। কিন্তু কখন যে সময় চলে গেছে খেয়ালই করিনি। কিছুক্ষণ পর গিয়ে দেখি আমাকে রেখেই বিমান চলে গেছে। অনেক অনুরোধ করেও সেবার আর কাজ হয়নি। আরেকবার দিল্লি এয়ারপোর্টে একটি ঘটনা ঘটেছিল। দেশে আসার জন্য ভেতরে যাই। তবে আমার টিকেট অজানা কারণে বাতিল হয়ে যায়। উপায় না পেয়ে হোটেল যাই। রাতে একটা হলিউড সিনেমা দেখে সময় কাটিয়ে পরের দিন দেশে ফিরি।