চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন দীর্ঘ ৩৫ বছর পর শুরু হয়েছে আজ। এবারের নির্বাচনে বড় প্রভাবক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন নারী শিক্ষার্থীরা। মোট ২৭ হাজার ৫১৬ ভোটারের মধ্যে ছাত্রী ভোটার রয়েছেন ১১ হাজার ৩৩২ জন, যা ভোটারের প্রায় ৪০ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, এই বিপুলসংখ্যক নারী ভোটারই জয়-পরাজয়ের মুখ্য ভূমিকা রাখতে পারেন।
ছাত্রীদের ভোট পেতে এরই মধ্যে পৃথক বৈঠক ও পরিকল্পিত প্রচার চালিয়েছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনসমর্থিত প্যানেল। ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরসমর্থিত প্যানেল নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে পৃথক সভার আয়োজন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাদের ‘সংগঠিতভাবে ভোটদানের’ আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, জয়ী হলে নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ভোটের প্রচারে এবারের নির্বাচনে বেশ সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে ছাত্রীরা। আবাসিক হল, একাডেমিক ভবন থেকে শুরু করে শাটল ট্রেন পর্যন্ত ছাত্রীদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনি বার্তা। প্রার্থীরা ছাত্রীদের কাছ থেকে সরাসরি মতামত নিচ্ছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।
তবে নারী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বলছে, প্রার্থীদের ইশতেহার ও পরিকল্পনা তাদের কাছে এখনো পরিষ্কারভাবে পৌঁছায়নি। এতে ভোটারদের মধ্যে কিছুটা অনীহাও লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, প্রচারের অভাব ও স্পষ্ট পরিকল্পনার অভাবে একটি বড় অংশের ছাত্রী ভোটার ভোটকেন্দ্রে না-ও যেতে পারেন। তবে এসব ভাবনাকে পাল্টে দিয়ে আজ সকাল থেকেই কেন্দ্রে নারী ভোটাররা ব্যাপক সারা ফেলেছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এবারের নির্বাচনে শুধু নারী ভোটাররাই নন, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সমর্থকরাও ফলে বড় প্রভাব ফেলতে পারেন।
উল্লেখ্য, সব মিলিয়ে ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। নারী শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণই এবার নির্ধারণ করে দেবে, কে হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নেতৃত্বের ধারক।