চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের ‘রিহার্সাল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। প্রায় তিন দশক পর অনুষ্ঠিত এই বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমকে উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, ‘সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে সুশৃঙ্খলভাবে এই নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের নির্বাচন। তারা এই নির্বাচন চেয়েছে এবং প্রচার পর্বে কোনো বাধা ছাড়াই চমৎকার পরিবেশে প্রচার হয়েছে। সবাই আচরণবিধি মেনে চলেছে। এ কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা, যাতায়াতসহ প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে।’
ভোটিং প্রক্রিয়াকে সহজতর করতে বৃত্ত ভরাট করে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘ক্রস মার্কিংয়ে অনেক সময় অসুবিধা হতে পারে। আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি শিক্ষার্থীদের ভোটদানের সুবিধাকে।’
নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘চাকসু ও ডাকসু এক নয়। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্তবতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে বিকল্প ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরও জানান, ‘আমরাই প্রথম ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করেছি, যা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। এ ছাড়া পর্যাপ্ত সংখ্যক ওএমআর (OMR) মেশিন রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে ভোট গণনা করা যায়। প্রতিটি ধাপে আমরা মাল্টিপল চেক রেখেছি।’
ভোটগ্রহণ থেকে ফল ঘোষণার পুরো প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, ‘এই নির্বাচনকে আমরা ‘ইনক্লুসিভ নির্বাচন’ বলছি। কারণ, ভোটার ছাড়াও পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাংবাদিক, শিক্ষক, পর্যবেক্ষকসহ সবাই সম্পৃক্ত। আমরা চাই ত্রুটিমুক্ত ও স্বচ্ছ নির্বাচন। এ জন্য ফল ঘোষণায় যৌক্তিক সময় নেওয়া হবে, তবু কাজ নিখুঁতভাবে সম্পন্ন হবে।’