বছর ঘুরে আবার এসেছে হিন্দু সমাজের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। যার রেশ লেগেছে বাঙালির ঘরে ঘরে। উৎসবের আমেজে আছেন তারকারাও। দুই বাংলার কয়েকজন তারকা জানিয়েছেন তাদের পূজার পরিকল্পনা। শুনেছেন এম তারেক।
১৮টি শাড়ি উপহার পেয়েছি: চয়নিকা চৌধুরী, নির্মাতা
পূজার আলাদা পরিকল্পনা নেই। অষ্টমীর দিন বনানীতে থাকব। পূজায় ১৮টি শাড়ি উপহার পেয়েছি। মা-বাবার দেওয়া দুটো শাড়ি, শাহীন আপু ও কোনালের দেওয়া শাড়ি পরে পূজা উদযাপন করব। বাকিগুলোও আস্তে আস্তে পরা হবে। পূজায় বাসায় ভালো মন্দ রান্না করি। দুপুরে বাইরে খাওয়া হয়। বিজয়া দশমীতে বড়দের প্রণাম করি। ছোটবেলায় মা জামা সেলাই করে দিত। সেই জামার ভাঁজের গন্ধ আজও মনে পড়ে। দল বেঁধে পুরান ঢাকায় পূজা দেখতে যেতাম। বাসায় প্রায় তিনশ জন অতিথি আসতেন। আমি প্রায় গেল ১০ বছর ধরে পূজায় নাটক বানাচ্ছি। মাঝে প্রহেলিকার শুটিংয়ের জন্য বানাতে পারিনি। আর এবার পূজায় কোনো নাটক বানাইনি। তবে চ্যানেল আইতে ফেরদৌস ওয়াহিদের উপস্থাপনায় একটি শো করেছি। একুশে টিভি ও এনটিভিতে বিশেষ শো যাচ্ছে। ক্যারিয়ারের দুই যুগ উপলক্ষে বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে নতুন নাটক যাচ্ছে।
মন্ডপে মন্ডপে ঘুরব: বিদ্যা সিনহা মিম, চিত্রনায়িকা
পরিবারের সঙ্গে ঢাকা ও রাজশাহী মিলে এবারের পূজা কাটবে। বাসার আশপাশের মন্ডপে মন্ডপে ঘুরব। এবার গরমের মধ্যে পূজা হচ্ছে। তাই সাদা রঙের মধ্যে সুতি সাধারণ জামা পরব। পূজায় রান্না করা হয় না। বাইরের প্রসাদ খাওয়া হয়। ছোটবেলায় মামা বাড়িতে পূজা উদযাপন করা হতো বেশি। মেলা বসত। দশমীতে নৌকাবাইচ হতো দেখতে যেতাম। দুপুরের খাবারের পর একবার গিয়েছিলাম। অনেক ভিড় হয়। তাই আর যাওয়া হয় না। সুযোগ পেলে পূজা উপলক্ষে মুক্তি পাওয়া সিরিজ বা নাটক দেখব। আমি কয়েকটি টকশোতে অংশ নিয়েছি।
প্রতিমা বানানো দেখতাম: বিপ্লব সাহা, ফ্যাশন ডিজাইনার
সারা বছরের ব্যস্ততা শেষে পূজায় ভীষণ ক্লান্ত থাকি। আমার কাছে ছুটি মানে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। পূজায় শাঁখারি বাজার ও তাঁতীবাজার যাই। সাধারণত সকালে অঞ্জলি দিতে যাই। সন্ধ্যার দিকে ঘুরতে বের হই। ছোটবেলায় পূজার অনেক আগে থেকে আনন্দ করতাম। প্রতিমা বানানোর আগে থেকে মন্দিরে গিয়ে বসে থাকতাম। প্রতিমা বানানো দেখতাম। পূজার গান আসত এলপিতে। গানগুলো উপভোগ করতাম। উদযাপন করতাম। নতুন জামা-কাপড় কেনাকাটা করতাম। বড় হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যেতাম। এখন উপহার দিতে হয় অনেক। দশমীর দিন অফিসে পূজা হয়। যদিও আমি ঘরে থাকতে মজা পাই।
পূজা কাটবে টাইমস স্কয়ারে: দেবাশীষ বিশ্বাস, নির্মাতা
আমার পূজা হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কলকাতাকেন্দ্রিক। এবারের পূজা কাটবে ভিন্নভাবে। ঢাকায় থাকলে ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে নতুন ঢাকা, অষ্টমীতে পুরান ঢাকা; নবমীতে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী এবং দশমীতে বাসায় সময় কাটে। এবার পূজায় থাকছি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে। ওখানে শো করব। এ জন্য অন্যরকম আবেদন কাজ করছে। প্রায় ১৫ বছর পর পূজার রুটিনে পরিবর্তন এসেছে। যেহেতু দেশে থাকছি না তাই মা, সহধর্মিণী ও সন্তানকে পূজার শপিং করে দিয়েছি। দশমীর দিনে মায়ের হাতের রান্না মিস করব। প্রতিমা দেখার আনন্দ মিস করব। পূজায় বাবাকে মিস করি অনেক। তার হাত ধরে ভিড়বাট্টায় ঘুরতাম। এখন ছেলে আমার হাত ধরে যায়। আগে উপহার পেতাম এখন দিতে হয়।
পূজায় বাবা টাকা দিতেন: মৌটুসী বিশ্বাস, অভিনেত্রী
ঢাকাতেই পূজা কাটাব। শ্বশুরবাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান আছে। প্রায়ই সংবাদ পাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ম-প ভাঙা হচ্ছে। কখনো বেশি, কখনো কম। একটি গোষ্ঠী ধর্মকে অসম্মান করে কি বার্তা দেয় বুঝতে পারি না। বিভিন্ন জায়গায় বহু ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। পূজা সার্বজনীন। যার মন চায় দেখবে, প্রসাদ খাবে। এমনও দেখেছি ভোগ খেয়ে কত ক্ষুধার্ত মানুষ পেট ভরায়। ধর্ম দেখে প্রসাদ বা ভোগ দিতে দেখিনি। কেন এ অসম্মান ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে? অসম্মান করে সম্মানিত হওয়া যায় না। বাবা চলে যাওয়ার পর উপহারের আমেজ চলে গেছে। বাবা টাকা পাঠিয়ে দিতেন। যেন পছন্দের কিছু কিনে নিতে পারি। এবার নিজে উপহার পেয়েছি। কাউকে উপহার দেওয়া হয়নি। পূজায় সাধারণত ঢাকেশ্বরী, রমনা, ফার্মগেট; উত্তরা, বনানী, বসুন্ধরায় ঘুরতে যাই। ফেসবুকের রিলের মাধ্যমে বিভিন্ন ম-প ঘোরা হবে। রিলেই পূজা দেখা হবে।
প্রচুর উপহার দিতে হয়: সুষমা সরকার, অভিনেত্রী
এবার চট্টগ্রাম যাওয়ার ইচ্ছে আছে। এখনো ওখানে পূজা করা হয়নি। পূজায় সাধারণত উত্তরা, বনানী, খামার বাড়ির ম-পে ঘোরাঘুরি করি। সুযোগ পেলে পুরান ঢাকায় পূজা দেখতে চলে যাই। আগে অনেক উপহার পেতাম। এখন প্রচুর উপহার দিতে হয়। আমি গ্রামের পূজা মিস করি। পাড়ায় পূজা হতো। মির্জাপুরে মামা বাড়ির পূজায় সবাই আসত। ব্যাচ করে খাওয়া দাওয়া হতো। আমি দুই বছর ভারতেশ্বরী হোমসে পড়েছিলাম। তখন পূজায় ছুটি পেতাম না। ওখানে পূজার আমেজ অন্যরকম ছিল।
বিশুদ্ধ আনন্দ আর নেই: দেবলীনা সুর, সংগীতশিল্পী
ঢাকায় পূজা কাটবে। টিভির পাশাপাশি ম-পের অনুষ্ঠান আছে। শিল্পকলার আয়োজনে গান গাইব। সেজন্য ভালো লাগছে। দশমীর দিন এনটিভিতে শো আছে। পূজা বরাবরই আনন্দের। অনেক বেশি ব্যস্ততা থাকে। অনুষ্ঠানের পর পূজা দেখতে বের হই। উপহার পেয়েছি প্রচুর। নিজের জন্য কেনাকাটা নিয়ে চিন্তিত না। এবার আগের মতো ভিড় দেখিনি। প্রচুর নতুন শাড়ি থেকে যায়। পূজায় সাদা-লালের একটি ব্যাপার কাজ করে। সেজন্য অনেক সময় পুরোনো শাড়ি পরতে হয়। ছোটবেলার আনন্দ ফিরে আসবে না। বিশুদ্ধ আনন্দ আর নেই। এখন সন্তানের আনন্দই মুখ্য। আত্মীয় স্বজনরা দূরে থাকেন। শিল্পীরাই স্বজন। সাধারণত রমনা কালীবাড়ি, জগন্নাথ হল, গুলশান-বনানী, উত্তরা, সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির ইত্যাদি জায়গায় ঘুরতে যাই। পুরোনো ঢাকায় গেলে আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায়।
সিঙ্গাপুরে শো করব: হিমাদ্রিতা পর্ণা, সংগীতশিল্পী
এবারের পূজা সিঙ্গাপুরে কাটবে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত শো আছে। এর আগে ২০২২ সালে সিঙ্গাপুরে শো করেছিলাম। অনেক ভালো লাগছে। ওখানে আমার আত্মীয়স্বজন আছেন। প্রবাসীরা আমার শো দেখতে চায়। তাদের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারিনি। প্রবাসে পূজায় ভীষণ ব্যস্ত সময় কাটে। সময় পেলে ম-পে ঘুরতে যাই। প্রতিবারের মতো মা, বাবা ও বন্ধুদের কাছ থেকে উপহার পেয়েছি। কাজের সূত্রে সারা বছর নতুন পোশাক পরা হয়। পূজার শোর জন্য নতুন শাড়ি প্রস্তুত রাখতে হয়। এবার পূজায় শাড়ি ও ওয়েস্টার্ন পরব। দেশের পূজা মিস করব। সবাই মিলে ম-পে যাওয়া হয়। সেটা হবে না। গুলশান-বনানীর ম-পে দশমীর পুরো সময় কাটাই। এটি খুবই মিস করব। পূজার সবচেয়ে বড় স্মৃতি নতুন জামা। চারটি জামা লাগতো। সেই জামা কাউকে দেখাতাম না।
পূজায় পড়ে গিয়েছিলাম: স্বর্ণলতা দেবনাথ, অভিনেত্রী
এবারের পূজা ঢাকাতেই কাটাব। সবুজবাগে সার্বজনীন পূজা হয়। সেখানে সময় কাটবে। এ ছাড়া গুলশান-বনানী পূজা ম-পে ঘুরতে যাব। পূজায় আলাদা কোনো পরিকল্পনা নেই। বাসার নিচেই পূজার আয়োজন হয়। আমি সবার ছোট। তাই সবাই আমাকে উপহার দেয়। আমারও উপহার দিতে ভালো লাগে। একটা স্মৃতি মনে পড়ে একবার অষ্টমীর উপোস করছিলাম, বিকেল ৩টা বা ৪টার দিকে খোলা মাঠে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম। তখন থেকে বন্ধুরা ভাবে উপোস করতে পারব না। যদিও আমি তারপরেও উপোস করি। কাজের ব্যস্ততা আছে। এনটিভি ও বাংলাভিশনে অতিথি হিসেবে থাকব। সপ্তমী থেকে আশা করি পূজায় থাকতে পারব।
বাংলা সিনেমা দেখব: দর্শনা বণিক, চিত্রনায়িকা
পূজায় পরিবারের যারা বাইরে থাকে তারা দেশে এসেছে। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাবো। ঘুরে বেড়াব। ম-পে যাব। খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা হবে। আর পূজায় বাংলা সিনেমা দেখব। প্রচুর শাড়ি, গহনা ও ড্রেস উপহার পেয়েছি। উপহার পেতে ও দিতে দুটোই ভালো লাগে। নিজেকেও প্রচুর উপহার দিয়েছি। ছোটবেলায় পূজার আগে পরীক্ষা শেষ হতো। আগে থেকে মজা করতে পারতাম না। স্কুলে ছুটির আগে পর্যন্ত মেলা হতো। নিউ মার্কেটে শপিং করতে যেতাম। পাড়ায় অনুষ্ঠান করতাম। সে জন্য রিহার্সেল করতাম। এগুলো মিস করি। পূজায় আমার অভিনীত ‘দেবী চৌধুরাণী’ মুক্তি পাচ্ছে। এটি বাঙালির সিনেমা। বুম্বাদা (প্রসেনজিৎ), শ্রাবন্তী, বেণু কাকু (সব্যসাচী চক্রবর্তী), অর্জুন চক্রবর্তী প্রমুখ অভিনয় করেছেন।
প্রেম ছাড়া পূজা অপূর্ণ: পায়েল মুখোপাধ্যায়, চিত্রনায়িকা
পূজা ঘিরে আমাদের অনেক পরিকল্পনা থাকে। কারণ, বছরে একটি বারই সবাই একত্র হওয়ার সুযোগ হয়। তাই পূজা ঘিরে নানা পরিকল্পনা সাজাই। এবারও পরিবারের সঙ্গে পূজা উদযাপন করব। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেব। এরই মধ্যে পূজার কেনাকেটা শেষ। কলকাতার পূজা মানে হরেক রকমের সাজসজ্জা হয়। এবারও দারুণভাবে সাজানো হয়েছে। পূজার সময় ডায়েট মানা হয় না। এ সময় প্রচুর খাওয়া হয়। ছোটবেলার পূজা ঘিরে অনেক স্মৃতি আছে। আর পূজায় মিলনমেলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছোটবেলায় একান্তবর্তী পরিবারের সবাই একত্র হতাম। কিন্তু সেটি আর নেই। সবার মধ্যে আন্তরিকতাও কমে গেছে। এসব ভীষণ মিস করি। প্রেম ছাড়া পূজা অপূর্ণ। পূজার সঙ্গে প্রেম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। অষ্টমীতে পছন্দের মানুষকে ফুল দেওয়ার মজাই অন্যরকম। সেটি নেই, থাকলে ভালো হতো। চাওয়া থাকবে পূজার এ কয়েকদিন বৃষ্টি না আসুক। এরই মধ্যে বৃষ্টিতে কিছু ম-প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাইকে পূজার শুভেচ্ছা।
মন্ডপের খিচুড়ি মজা লাগে: শিপন মিত্র, চিত্রনায়ক
আমি ঢাকাতেই আছি। পরিবারের সঙ্গে পূজা কাটাব। অষ্টমী পর্যন্ত শুটিং আছে। নবমী ও দশমীর শুটিং পরিচালককে বলে পিছিয়েছি। সাধারণত অষ্টমী পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করা হয়। নবমী ও দশমীতে বাসায় অতিথিরা আসেন। বাবা থাকতে অষ্টমী বা নবমীতে নরসিংদী-নারায়ণগঞ্জ যেতাম পূজা দেখতে। পরিবারের সবাই মিলে বড় গাড়ি ভাড়া করতাম। সেটা এখন আর হয় না। মূলত করোনার পর থেকে আর এভাবে যাওয়া হয় না। পূজায় আমার পছন্দের পোশাক পাঞ্জাবি। পূজার সময় ম-পের খিচুড়িটা বেশ মজা লাগে। এ ছাড়া লাড্ডু-নাড়ু তো সবাই পছন্দ করে। প্রতি বছর বিটিভিতে একটি পূজার অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করি। এবার কাজের ব্যস্ততার জন্য সময় হয়নি।
সব মন্ডপে যাই: পূজা সেনগুপ্ত, নৃত্যশিল্পী
পূজায় ঢাকাতেই থাকব। আমি সব ম-পে যাই। বনানীর ম-পে বেশি যাওয়া হয়। পূজায় প্রচুর উপহার পাই। এখন রান্নাও করি। ছোটবেলায় বসে বসে খেতাম। সর্ষে ইলিশ, পাঁচ তরকারি ও ছোলার ডাল বিশেষভাবে রান্না করা হয়। পূজার চারটি দিন ঘোরা হয় বেশি। ম-পের প্রসাদ পছন্দ। সবসময় দেশি শাড়ি পছন্দ করি। পূজায়ও শাড়ি পরতে ভালো লাগে। বিশেষ করে নকশিকাঁথা, মসলিন এসব শাড়ি পরে ম-পে যাই। ২০২১ সালে মা চলে গেছেন। মায়ের অনুপস্থিতি বিশাল প্রভাব ফেলে। ছোটবেলার পূজা ভালো ছিল। তবে এখন খারাপ এমনটি ভাবি না। আমরা বড় হচ্ছি, একসময় বুড়া হব প্রতিটি বয়সের আলাদা সৌন্দর্য আছে বলে বিশ্বাস করি। পূজায় চেষ্টা করি কাজ না রাখার। প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পারফর্ম করলাম। টেলিভিশনে টকশো থাকছে।
মামা বাড়িতে পূজা করব: সেমন্তী সৌমি, অভিনেত্রী
ফরিদপুরের পাংশায় মামা বাড়িতে পূজা উদযাপন করব। সব আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ট্রেন বুকিং করে যাচ্ছি। ওখানে পূজা ভালো কাটে। ছোটবেলায়ও মামা বাড়িতে পূজা করতাম। যাওয়ার সময় যেতে চাইতাম না। আসার সময় কাজিনরা মিলে দোয়া করতাম যেন মাঝ পথে বাস নষ্ট হয়। তাহলে আবার ফিরে যেতে পারব। মাঝে দিদা মারা গেল। অনেকদিন বাদে আবার সেখানে যাচ্ছি। টানা শুটিংয়ের মধ্যে আছি। শপিং করার সময়ও মিলছে না। বড়রা টাকা দেয়। মা সালোয়ার কামিজ ও শাড়ি উপহার দেয়। দশমীর দিন প্রণাম করলে ছোটদের দিতে হয়।