এ সময়ের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা এস এম আশরাফুল আলম। তবে শোবিজের সবাই তাকে সোহাগ নামেই চিনেন-জানেন। অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে শোবিজে নামেন তিনি। এই অভিনেতার ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়েছিল রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘যখন কখনো’ ধারাবাহিক নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত তিনি একের পর এক নাটকে অভিনয় করে দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছেন। ছোট পর্দায় কাজ করছেন নিয়মিত। কখনো ইতিবাচক চরিত্রে আবার কখনো নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে নিজেকে অভিনয়ে পরিপূর্ণ করে তোলারই চেষ্টা করেছেন বিগত বেশ কয়েক বছরে। এই সময়ে এসে নির্মাতাদের কাছে গল্পানুযায়ী একজন অত্যাবশ্যকীয় অভিনেতায় নিজেকে পরিণত করেছেন। প্রতি মাসেই তার শুটিং নিয়ে ব্যস্ততা থাকে।
এরই মধ্যে সোহাগের জীবনে নতুন এক অভিজ্ঞতাও যুক্ত হয়েছে। তিনি এবার ‘নতুন কুঁড়ি ২০২৫’-এর বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। ময়মনসিংহের সন্তান হিসেবে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পর্যায়ের (বাছাই পর্ব) বিচারক ছিলেন। এরপর তিনি রংপুরে বিভাগীয় পর্বের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সোহাগ এই সময়ে এসে সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন কেএম সোহাগ রানা পরিচালিত ধারাবাহিক নাটক ‘দেনা পাওনা’তে অভিনয় করে। এই নাটকে তার অভিনীত চরিত্রটি দর্শকের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
এ ছাড়াও তাইফুর জাহান আশিকের ‘মাথা গরম ফ্যামিলি’ ধারাবাহিকে অভিনয়ের জন্যও বেশ সাড়া পাচ্ছেন। এরই মধ্যে জাহিদ হাসানের প্রযোজনা সংস্থা থেকে প্রচার শেষ হওয়া ধারাবাহিক ‘ভাল্লাগেনা’তেও অভিনয় করে আলোচনায় ছিলেন সোহাগ। বর্তমানে প্রচার চলছে তার অভিনীত আরও কয়েকটি নাটক। শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন ফরিদুল হাসানের নতুন ধারাবাহিক ‘মহল্লা’ ও শামীম জামানের ‘শাদী মোবারক’ নিয়ে। এ ছাড়াও সোহাগ শেষ করেছেন তারিক মুহাম্মদ হাসানের ‘লাল মোরগের ঝোল’ নাটকের কাজ। এতে তিনি মোশাররফ করিমের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ‘ওমর’ তার অভিনীত একমাত্র সিনেমা। তবে সোহাগ চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয়ের জন্যও নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। চলচ্চিত্রে নিজের মেধাকে কাজে লাগাতে চান। শিগগিরই তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন বলে জানান।
অভিনয় জীবনের এই সুবর্ণ সময় প্রসঙ্গে সোহাগ বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হবো, সময়ের ধারাবাহিকতায় অনেক কষ্ট ও শ্রম দেওয়ার পর অবশেষে কিছুটা হলেও অভিনেতা হিসেবে দেশ-বিদেশে আমার একটা পরিচিতি এসেছে। যখন যেখানে যাই, ভক্ত-দর্শক ভালোবেসে আমার কাছে আসেন, আমার সঙ্গে কথা বলেন; কেউ কেউ ছবিও তোলেন-এই যে ভালোবাসার সত্যিকার অর্থেই কোনো তুলনা হয় না। সত্যিই আমার পরম সৌভাগ্য যে দর্শক আমাকে ভালোবাসেন, তাদের ভালোবাসায় আমাকে আগলে রাখেন। আমি কৃতজ্ঞ দর্শকের প্রতি। কৃতজ্ঞ আমার সকল প্রযোজক, পরিচালক ও সহশিল্পীদের প্রতি। আজীবন ভালোবেসে অভিনয়টাই করে যেতে চাই।’