যারা গান শিখতে আসে আমার কাছে, তারা যেন গান দিয়েই জীবনে বহুদূর যেতে পারে, অর্জন করতে পারে সাফল্য। এর চেয়ে বড় কিছু চাওয়া নেই আমার। আর যদি কখনো কোথাও আমার কথা একটু স্মরণ করে সেটা হবে আমার প্রাপ্তি। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি তো আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আশা করা যায় নাÑ সংগীতে নিজের শিক্ষার্থীদের প্রসঙ্গে এমনটাই বলেন নেত্রকোনা শহরের আলোচিত, সমাদৃত গানের শিক্ষক রতন কুমার সরকার।
মূলত তিনি তার কাছে গান শিখতে আসা শিক্ষার্থীদের উচ্চাঙ্গসংগীতেই সাধারণত তালিম দিয়ে থাকেন। ১৯৮৬ সালে যখন কলেজে পড়েন তখন থেকেই গান শেখাতেন আগ্রহীদের। তবে নব্বই দশকের শুরু থেকে তিনি পেশাগতভাবেই উচ্চাঙ্গ সংগীতে তালিম দেওয়া শুরু করেন। বাবা-মায়ের সুবাদে ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি তার প্রবল আগ্রহ জন্মায়। পরিবার থেকেই গানের শিক্ষা পেলেও পরবর্তীতে গোপাল দত্ত, সবিতা সেন ও ভারতের অরিন্দম ভট্টাচার্যের কাছে উচ্চাঙ্গসংগীতে তালিম নেন রতন কুমার।
একজন ভালো গায়ক হিসেবে নেত্রকোনা এলাকায় তার বেশ সুনাম রয়েছে। তবে একজন গানের শিক্ষক হিসেবে তিনি সবচেয়ে বেশি সমাদৃত। বিগত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি অসংখ্য শিক্ষার্থীকে গানে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এই মুহূর্তে তার কাছে ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী গান শিখছেন।
রতন কুমার বলেন, ‘তানজিন মিথিলা, স্বর্ণা তালুকদার, কাশফিয়া, শ্রেয়া, তন্নাসহ আরও অনেকেই গানের ভুবনে জাতীয় পর্যায়ে খুব ভালো করছে। অনেকেই এই মুহূর্তে ভারতে আছে, গান শিখছে। সবাইকে নিয়ে আমার গর্ব হয়, ওরা ভালো করছে। সত্যি বলতে কী গানের মূল প্রশিক্ষণটা হলো উচ্চাঙ্গসংগীত। এতে একজন শিল্পী পারফেক্ট করতে পারলে সে বহুদূর যেতে পারে।’
রতুন সরকার নেত্রকোনার হায়দার শেলী স্মৃতি সংগীত বিদ্যা নিকেতন, শতদল সাংস্কৃতিক একাডেমি, প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক একাডেমি, শিশু একাডেমি ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত সংগীত প্রশিক্ষক।

