৭৪তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে থাইল্যান্ডে। এতে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা। অনুষ্ঠান শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি। মিথিলার জীবন বদলে দিল থাইল্যান্ডের ১৯টি দিন। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা, আগামীর পরিকল্পনা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুহুল আমিন ভূঁইয়া
বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ভাগ্য সহায় হয়নি। খারাপ লাগছে?
খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। গিয়েছিলাম বাংলাদেশের জন্য মুকুট জয় করতে। কিন্তু সেটা হয়নি তবে, দেশের মানুষের মন জয় করতে পেরেছি; এটাই এখন বড় আনন্দের। ২০ লাখ মানুষ আমায় তাদের ভালোবাসায় রেখেছেন, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। এর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। কারণ, ২০ লাখ ভোট আমার মতো সাধারণ মানুষের জন্য সহজ নয়। এটা একটা ইতিহাস। ভবিষ্যতে এমন ইতিহাস হবে কিনা জানি না। দেশের পরিস্থিতি সেভাবে ভালো না। সেই জায়গা থেকে দেশের মানুষ আমার পাশে থেকেছে এটা আমার জন্য অনুপ্রেরণা। দারুণ সব অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি।
এই ১৯ দিন জীবনে কোনো বদল এনেছে?
অবশ্যই বদল এনেছে। আগে ছিলাম মডেল আর এখন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ তানজিয়া জামান মিথিলা। অগণিত মানুষের ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি বেড়েছে। সেইসঙ্গে ভক্ত তৈরি হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করব। আগামীতে যারা প্রতিনিধিত্ব করতে যাবে তাদের আমরা তৈরি করে পাঠাতে পারব। এটা দেশের জন্য বড় একটা পরিবর্তন। কারণ আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। আমার অভিজ্ঞতা পরবর্তীতে কাজে লাগানো যাবে।
আপনাকে ঘিরে বিতর্ক হয়েছে
কাপড় নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। বাংলাদেশে এ ধরনের বিতর্ক হওয়া স্বাভাবিক। আমাদের মতো করে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যায় না। তাদের মতো করেই নিতে হয়। এটি ইতিবাচক ভাবেই নিয়েছি। তবে কষ্ট পেয়েছি, এই বিতর্ক আমার মন ভেঙেছে। তারপরও আত্মবিশ্বাস ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শেষ দিন পর্যন্ত লড়েছি।
কটাক্ষ প্রভাব পড়েছিল?
হ্যাঁ প্রভাব পড়েছে। না হলে হয়তো আরও ভালো করতাম। বিষয়টা আমাকে কষ্ট দিয়েছে। দেশের প্রতিনিতিত্ব করতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিকিনির জন্য যদি মানুষ প্রশ্ন তুলে সেটা তো কষ্টের। তারা আমার লড়াইটা দেখেনি। আমি অনেক ভালো কাজ করেছি। সেসব না দেখে বিকিনি সামনে এনে কটাক্ষ করেছে। অথচ এমন বিষয় কিন্তু সবাই নিয়মিত দেখছে। ১২১টি দেশের সঙ্গে লড়াই করেছি সেটা তারা দেখেনি। বিতর্ক না হলে বিজয়ী হতাম।
থার্সডে নাইট
থার্সডে নাইট ব্যস্তময় জীবন থেকে একটু মুক্তির সময় যেন। বন্ধুদের সঙ্গে এমন এক আড্ডায় মুখর হতে চেয়েছিলেন কয়েক বন্ধু। কিন্তু সেই আড্ডা তাদের জীবনে প্রশান্তি তো আনেইনি বরং তৈরি করেছে সমস্যা। কী এবং কেন সেই সমস্যা? ফ্ল্যাশ ফিকশন ‘থার্সডে নাইট’গল্পে পাওয়া যাবে সব উত্তর। মূলত বন্ধুদের নিয়ে ইনভেস্টিগেশন থ্রিলার ঘরানার গল্প এবং সত্য ঘটনার অনুপ্রেরণায় নির্মিত। শিক্ষণীয় একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। মেয়েরা বেশি মডার্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে তা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য এটি একটা বার্তা।
অভিনয়ে নিয়মিত হবেন?
এখন অভিনয় নিয়ে ভাবছি। সিরিয়াসলি ভাবছি। নিয়মিত অভিনয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অভিনয়ে নিজেকে মেলে ধরতে চাই। একজন ভালো অভিনেত্রী হতে চাই। আমি নির্দিষ্ট গ-িতে আটকে না থেকে সব মাধ্যমে প্রতিভা দেখাতে চাই। অবশ্যই বড় পর্দায় কাজের আগ্রহ আছে। তবে নিজেকে ছোট পর্দায় আগে প্রমাণ করতে চাই।

