ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

নাসিরনগর-মাধবপুর সড়কে বড় বড় গর্ত

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ০২:৩৫ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর-মাধবপুর আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন অংশ এখন বড় বড় গর্ত, ভাঙন ও খানাখন্দে ভরে গেছে। মাত্র ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে সময় লেগেছে দুই বছরের বেশি। এর মধ্যে শেষ হয়নি কাজ। ফলে নারী, শিশু, রোগীবাহী যানবাহনসহ প্রতিদিন সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

রাস্তাটির ভয়াবহ অবস্থার কারণে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে আহত হচ্ছে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সি মানুষ। নাসিরনগর থেকে ফুলপুর পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কে কোনোভাবে কাজ চললেও বাকি অংশে চলছে ধুঁকতে ধুঁকতে যাতায়াত।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ নাসিরনগর-মাধবপুর সড়কের ৯ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের জন্য ১৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। কাজের দায়িত্ব পায় হাসান এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সড়কটি ১২ ফুট থেকে ২২ ফুটে উন্নীত করার কথা ছিল। এর মধ্যে ১৬ ফুট ৫ ইঞ্চি হবে পিচঢালাই ও পাশে তিন ফুট করে সোল্ডার।

প্রকল্পের সময়সীমা ছিল ২০২৫ সালের ২৮ মে পর্যন্ত। কিন্তু এরই মধ্যে প্রায় ৭ কোটি টাকা উত্তোলন করলেও ধীরগতির কারণে এখনো প্রকল্পের বড় অংশই অসম্পন্ন। ফলে রাস্তার নুরপুর, পাঠানিশা, চটিপাড়া, চৈয়ারকুড়ি, জেঠাগ্রাম ও শ্যামপুর অংশ একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা বকুল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রাস্তার এমন অবস্থা যেকোনো গর্ভবতী মহিলা যদি এ রাস্তা দিয়ে যায়, তাহলে হাসপতালে না গিয়েই রাস্তায় মারা যাবেন। ঠিকাদার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করেনি।’
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমএ হান্নান বলেন, ‘ঠিকাদার দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার কাজ ফেলে রেখেছে। আমরা চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছি। যেখানে বেশি গর্ত হয়েছে, সেখানে ইউএনওর সহযোগিতায় কিছু ইটের গুঁড়া ফেলে কোনোভাবে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার দুই পাশের গাছ কাটতে বন বিভাগ দেড় বছর সময় নিয়েছে। পাশাপাশি অনেকেই জায়গা ছাড়তে রাজি হয়নি। এ জন্য দেরি হয়েছে। এখন নতুন করে আরও এক বছর সময় বাড়ানো হয়েছে।’

এদিকে নাসিরনগরের ইউএনও শাহিনা নাসরিন বলেন, ‘রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। ঠিকাদার ধীরগতিতে কাজ করছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে আমরা চাপ প্রয়োগ করছি।’