নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারী ইউনিয়নের হোলাইগাড়ী বাজারসংলগ্ন নন্দকুজা নদীর ওপর নির্মিত একমাত্র বাঁশের সেতুটি কচুরিপানার চাপে ভেঙে পড়েছে। এতে ওই অঞ্চলের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন। গত শুক্রবার বিকেলে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নদীতে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং সেই সঙ্গে অতিরিক্ত কচুরিপানার চাপ সৃষ্টি হয়। ফলে সেতুটির কাঠামো ভেঙে পড়ে যায়।
জানা যায়, উপজেলার ৫নং চামারী ইউনিয়নের হোলাইগাড়ী এলাকার হোলাইগাড়ী জাগরণী সংঘের উদ্যোগে ২০০৮ সালে স্থানীয় ২২টি গ্রাম থেকে চাঁদা তুলে এ বাঁশের সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার মানুষ এ সেতু ব্যবহার করে পারাপার করতেন। এখন সেতুটি ভেঙে পড়ায় ওই এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জাগরণী সংঘের সদস্য রাজু আহমেদ বলেন, ‘ব্রিজটিই ছিল এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। হঠাৎ কচুরিপানার চাপে ভেঙে যাওয়ায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষকসহ হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আমরা দ্রুত একটি টেকসই সেতুর দাবি জানাচ্ছি।’
চামারী ইউনিয়নের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই সেতু দিয়েই আমরা প্রতিদিন হোলাইগাড়ী বাজারে যাতায়াত করি। এখন ঘুরে বিকল্প পথে যেতে হলে তিন থেকে চার কিলোমিটার পথ বেড়ে যায়। সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে স্কুলগামী শিশুরা ও বৃদ্ধরা।’ এ বিষয়ে সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, বাঁশের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :