বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

ধনাগোদায় ভেসাল-কারেন্ট জালের দৌরাত্ম্য

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম

ধনাগোদায় ভেসাল-কারেন্ট  জালের দৌরাত্ম্য

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ধনাগোদা নদী ও এর সঙ্গে সংযুক্ত খালগুলোতে অবাধে চলছে ভেসাল ও কারেন্ট জালের ব্যবহার। ফলে হুমকির মুখে পড়ছে দেশীয় মাছের প্রজনন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য। অথচ এসব নিয়ে প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে সাদুল্ল্যাপুর, কালীপুর, পুটিয়ারপার, হানিরপাড়, বড় হলদিয়া, নেদামদী, আমিনপুর, উদামদি, টরকী ও নন্দলালপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অর্ধশতাধিক স্থানে বাঁশের কাঠামোতে স্থাপন করা ভেসাল জালে প্রতিনিয়ত মাছ শিকার করছেন জেলেরা। তাদের ফাঁদে জাটকা ইলিশসহ ছোট-বড় দেশীয় প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছ আটকা পড়ছে, যা পরবর্তী সময়ে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেশের মৎস্য সম্পদকে।

স্থানীয় জেলে হরিদাস পাল, শুক্কুর শেখ, হারুন প্রধান ও আল আমিন ভেসাল জাল দিয়ে মাছ ধরার কথা স্বীকার করে জানান, বড় মাছের পাশাপাশি অনেক ছোট পোনাও আমাদের জালে ধরা পড়ে। তবে ছোট পোনাগুলো বিক্রি যোগ্য না হওয়ায় সেগুলো ফেলে দিতে হয়। তাদের দাবি, প্রশাসনের অভিযান শুরু হলে তারা এই অবৈধ পন্থা থেকে বিরত থাকবেন।

একই সুরে কথা বলেন আরেক জেলে মিঠু চন্দ্র বর্মণ। তিনি বলেন, ইলিশ ধরতে আমরা কারেন্ট জাল ব্যবহার করি। খালে ফাঁদ দিয়ে দেশীয় ছোট মাছ ধরি। কিন্তু যদি প্রশাসন বলে এগুলো অবৈধ, তাহলে আমরা আর করব না।
অন্যদিকে, মৎস্য বিভাগের উদাসীনতার অভিযোগ নাকচ করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, ‘আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। চায়না চাই, ভেসাল, কারেন্ট জালসহ সব অবৈধ জালের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের জাল ব্যবহার দেশের মিঠাপানি ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের জন্য মারাত্মক হুমকি।

তিনি আরও জানান, চায়না চাই, গচিজাল, গণমশারিজালসহ অবৈধ জালের বিরুদ্ধে শিগগিরই আরও কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জলাশয়ে অবৈধ জাল বসানো ও ফাঁদ স্থাপন বন্ধ না হলে অচিরেই দেশীয় মাছের প্রজাতি সংকটে পড়বে। প্রশাসনের কঠোর মনোভাব এবং জনসচেতনতা বাড়ানো ছাড়া এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!