বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চরমে শাহজাহান মিয়া, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০২:১০ এএম

অবৈধ দখল ও যানজটে জনদুর্ভোগ

চরমে শাহজাহান মিয়া, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০২:১০ এএম

অবৈধ দখল ও যানজটে জনদুর্ভোগ

মৌলভীবাজার পৌর শহর ও জেলার আঞ্চলিক সড়কগুলো এখন অবৈধ দখলদারদের কবলে। সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে সিএনজি অটোরিকশা ও টমটমের অস্থায়ী স্ট্যান্ড, নির্মাণসামগ্রীর ডিপো ও দোকানপাট। ফলে যান চলাচলে তীব্র বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, তৈরি হচ্ছে স্থায়ী যানজট ও জনদুর্ভোগ।

বিশেষ করে মৌলভীবাজার-শেরপুর, চাঁদনীঘাট-কুসুমবাগ সড়কসহ সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে সমস্যা বেশি। সরু রাস্তায় দুই পাশে শত শত সিএনজি দাঁড়িয়ে থাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় পথচারীদের মূল সড়কেই চলতে হচ্ছে ঝুঁকি নিয়ে।

স্থানীয় শিক্ষার্থী সানজিদা জাহান মীম বলেন, ‘প্রতিদিন স্কুলে যেতে ভয় লাগে। রাস্তার পাশে হাঁটার জায়গা নেই, যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের কুসুমবাগ, চৌমুহনী, শমসেরনগর রোড, টিসি মার্কেট, চাঁদনীঘাট, কোর্ট পয়েন্টসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ওপরই গড়ে উঠেছে ভাসমান স্ট্যান্ড। এসব স্ট্যান্ড থেকে ‘স্ট্যান্ড ভাড়া’ নামে নিয়মিত চাঁদা আদায় হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একাধিক চালক জানান, সড়কের পাশে গাড়ি রাখার জন্য ট্রাফিক পুলিশকে মাসে ১০০-২০০ টাকা দিতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ দখল ও চাঁদাবাজির সঙ্গে প্রভাবশালী মহল এবং কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত। তবে ট্রাফিক বিভাগ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মৌলভীবাজারের সিএনজিচালক হারুন বলেন, ‘যাত্রী তোলার জন্য নির্ধারিত স্ট্যান্ড দরকার। রাস্তা ছাড়া আর কোনো জায়গা নেই। সরকার যদি জায়গা দেয়, তাহলে সমস্যা থাকবে না।’

এ বিষয়ে চালক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের স্থায়ী স্ট্যান্ড দিলে আমরা যেমন ভোগান্তিতে পড়তাম না তেমনি অন্যদেরও ভোগান্তির কারণও হতাম না। আর প্রতি মাসে মাসোয়ারা বাবদও ট্রাফিক যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হতাম না। 
জেলা ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব ও স্থানীয় সমর্থনের কারণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

জেলা প্রশাসক মো. ইসরায়েল হোসেন বলেন, ‘খুব শিগগির অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সিএনজি স্ট্যান্ড পুনর্বিন্যাসে অভিযান চালানো হবে।’ সচেতন নাগরিকদের মতে, শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযান নয়, নিয়মিত তদারকি, সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নির্ধারিত পার্কিং সুবিধা নিশ্চিত করলেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!