বগুড়ার ধুনটে মব সৃষ্টি করে ভাঙচুর, লুটপাট, অবরুদ্ধ ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নিমগাছী ইউনিয়নের পীরাপাট গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম গতকাল রোববার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ইসলাম ২০০৮ সালে রেজিস্ট্রি দলিল মূলে জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। গত এক মাস আগে মৃত আব্দুস সাত্তার ম-লের ছেলে শাহাদুল হোসেন ম-ল, গেদা ম-ল, আব্দুল কাফী, সফিকুল ইসলাম এবং মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে সুকলু মিয়া, ইংরেজ উদ্দিন ও কালু মিয়াসহ কয়েকজন তার কাছে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
চাঁদা না দেওয়ায় তারা শহিদুলের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণকৃত সরকারি রাস্তার জায়গা দখল করে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর ভাঙচুর করে ভিতরে রক্ষিত প্রায় দেড় লাখ টাকার রড, সিমেন্টসহ মালামাল লুট করে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবাদ করলে শহিদুলের পরিবারকে ঘরের ভেতর জিম্মি করে রাখা হয়। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
শহিদুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসীরা বর্তমানে সরকারি রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এতে তার দুই মেয়ে, একজন বগুড়া নার্সিং কলেজ ও অন্যজন বাগবাড়ী শহিদ জিয়াউর রহমান কলেজে পড়ালেখা, চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাস্তার জায়গাটি সওজ ২০০৪ সালে অধিগ্রহণ করেছিল এবং এর মূল্য বাবদ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে অভিযুক্তরা উত্তোলন করেছেন।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত শাহাদুল হোসেন ম-ল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কোনো ভাঙচুর, লুটপাট বা রাস্তা বন্ধ করিনি। বরং তাদের চলাচলের জন্য জায়গা রেখেছি। শহিদুল ইসলামই আমাদের ওপর হামলার জন্য লোক ভাড়া করেছিলেন। এখনো তার ভাড়া করা লোকদের ভয়ে বাজারে যেতে পারি না।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। গণশুনানি হবে এবং প্রয়োজনে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’